ঢাকা: শ্যামলী পরিবহনের প্রধান মেকানিক রতন মিয়ার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিত না হলে আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে কর্মবিরতিতে যাবে মোটরযান মেকানিকরা।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মোটরযান মেকানিক ফেডারেশনের ব্যানারে এক বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা এ ঘোষণা দিয়েছেন।
এ সময় তারা রতন হত্যায় জড়িত শ্যামলি পরিবহনের মালিক রমেশ ঘোষ, তার শ্যালক ও হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী শষ্ঠী ঘোষকে দ্রুত গ্রেফতারেরও দাবি জানান।
সমাবেশে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন বলেন, শ্যামলী পরিবহনের বাসের মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রমেশ ও রমেন ঘোষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। নিহত রতন প্রধান মেকানিক হিসেবে এ পরিবহনে সুনামের সঙ্গে কাজ করছিলো। ভালো কাজের সুবাদে পরিবহনের মালিক রমেনের সঙ্গে ভালো সম্পর্কও গড়ে ওঠে তার। রমেনের সঙ্গে এই ভালো সম্পর্ক রমেশ মেনে নিতে পারেনি। তাই তিনি ও তার শ্যালক পরিবহনের ফোরম্যান শষ্ঠীকে দিয়ে রতনকে হত্যা করে।
রমেশের দুর্নীতির বিষয় ও পরিবহনের ভাগ নিয়ে দ্বন্দ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রতন জানতেন বলে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আনোয়ার হোসেন আরও জানান, গত ৩ জানুয়ারি রতন নিখোঁজ হলে রতনের ভাই নাসির সাভার থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। সেটার সূত্র ধরে পুলিশ শ্যামলি পরিবহনের পাঁচ শ্রমিককে গ্রেফতার করে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৯ জানুয়ারি রাজধানীর শ্যামলী প্যাম্পের পেছনে ময়লার ভিতর থেকে রতনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রতন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী পলাতক শষ্ঠীকে গ্রেফতার করা হলে হত্যার আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলেও দাবি করেন তিনি।
সমাবেশে সংগঠনটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, গাবতলী বাস টার্মিনাল শাখার সভাপতি মীর আনোয়ার হোসেন ফারুক, শ্রমিক নেতা সামছুল হক, আব্দুল জব্বার, এম এ রব, মো. হাদি, আবুল খায়েরসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৬
আরইউ/আরএইচএস/টিআই