ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পোড়া বস্তি উচ্ছেদে নিষেধাজ্ঞা

রাষ্ট্রপক্ষের স্থগিত আবেদনের শুনানি ৩১ জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৬
রাষ্ট্রপক্ষের স্থগিত আবেদনের  শুনানি ৩১ জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে

ঢাকা: রাজধানীর কল্যাণপুরের নতুন বাজার পাইকপাড়ায় পোড়া বস্তি উচ্ছেদ কার্যক্রমে হাইকোর্টের দেওয়া তিনমাসের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেননি চেম্বার বিচারপতি আদালত। এ নিষেধাজ্ঞা স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন।



আগামী ৩১ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটির শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত।

গত বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি)  ওই বস্তি  (গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জমি) উচ্ছেদ কার্যক্রমে তিনমাসের নিষেধাজ্ঞা দেন বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক আবেদনের  শুনানি নিয়ে এ নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া ওই বস্তি  উচ্ছেদ ও বস্তির বাসিন্দাদের হয়রানি না করতেও নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এ নিষেধাজ্ঞার স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।

এদিকে বৃহস্পতিবার ওই এলাকার নয়টি বস্তি উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বস্তিবাসীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। দুপুর ১২টায় ওই এলাকায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করলে এ সংঘর্ষ বাধে। পরদিন শুক্রবার (২৩ জানুয়ারি) রহস্যজনক আগুনে পুড়ে যায় ৮ নম্বর বস্তির একাংশ।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যার্টনি জেনারেল হাসানুজ্জামান।

আদেশের পরে সারা হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকার পরও পোড়া বস্তিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে এবং বস্তিবাসীদের হয়রানি করা হচ্ছে। এ বিষয়টি নজরে আনার পর আদালত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা কার্যক্রমকে বেআইনি বলে উল্লেখ করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী মো. সামীউল আলম সরকার জানান, এ বস্তি উচ্ছেদের বিষয় নিয়ে ২০০৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর আসক, কোয়ালিশন ফর আরবান পুওর এবং দু’জন বস্তিবাসী হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। এ রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর আদালত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।

এর মধ্যে ২০০৬ সালের ১০ জানুয়ারি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বস্তি উচ্ছেদে ডিএমপি’র কাছে পুলিশ চায়। এ উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ চেয়ে বাদীপক্ষ ২০০৬ সালের ৬ জুন রিট আবেদন করেন।

পরের বছর হাইকোর্ট এ রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে আদেশ দেন।

প্রায় ছয় বছর কোনো কার্যক্রম হাতে না নিলেও চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি মন্ত্রণালয় আবারও উচ্ছেদের জন্য পুলিশ চায় এবং বৃহস্পতিবার পুলিশ নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা শুরু করে।

এ অবস্থায় বাদীপক্ষ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে আবেদন জানালে আদালত স্থগিতাদেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৬
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।