ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘কারাগার হোক সংশোধনাগার’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৬
‘কারাগার হোক সংশোধনাগার’ ছবি: ফাইল ফটো

ঢাকা: ‘কারাগার হোক সংশোধনাগার’ এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে প্রতিবারের ন্যায় এবারও শুরু হতে যাচ্ছে ‘কারা সপ্তাহ ২০১৬’। আগামী ২০ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী পালন করা হবে ‘কারা সপ্তাহ-২০১৬’।



কারা সপ্তাহ উদযাপনের উদ্দেশ্য হিসেবে থাকছে কারাগারকে সংশোধানাগারে রূপান্তর করা, কারা সেবার মান বৃদ্ধি, কারাগার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার পরিবর্তন, কারা কর্মকর্তা এবং কারাবন্দি ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে মতবিনিময়ের মাধ্যমে সেতু বন্ধন সৃষ্টি, কারা কর্মচারীদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন, কারা বিভাগে জনবল বৃদ্ধিসহ গত বছরের সকল প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা।     

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় কারা অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ‘কারা সপ্তাহ-২০১৬’ উদযাপন উপলক্ষে আয়জিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্ণেল ফজলুল কবীর এ কথা বলেন।

এবার ‘কারা সপ্তাহ-২০১৬’ তে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ২০ জানুয়ারি কারা সপ্তাহের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।

অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক বলেন, সারাদেশে ৬৮টি কারাগারে থাকবে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম। সকল কারাগারে সপ্তাহব্যাপী তথ্য ও সেবা কেন্দ্র পরিচালিত হবে, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, কারারক্ষী ও কারাবন্দিদের বিশেষ দরবার অনুষ্ঠিত হবে, কারা কর্মচারীদের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের পাশাপাশি কারারক্ষীদের বিশেষ প্যারেড অনুষ্ঠিত হবে।

‘বন্দিদের সাজা কার্যকরের পাশাপাশি তারা যেন কারাগার থেকে বেড়িয়েই পুনরায় অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে সেই উদ্দেশ্য সামনে রেখেই তাদের সংশোধনের মাধ্যমে স্বাভাবিক মানুষ হিসাবে সমাজে পুনর্বাসনে কারা প্রশাসন বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছেন কর্ণেল ফজলুল কবীর।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, কারাবন্দিদের তথ্য সংরক্ষণের জন্য একটি ডাটাবেজ তৈরির কাজ চলছে। কারা অধিদপ্তর ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) যৌথভাবেই এই ডাটাবেজ তৈরির কাজ করছে।

তিনি বলেন, ডাটাবেজ তৈরির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কারাগারে থাকা বন্দিদের তথ্য সংগ্রহ করা। এতে করে একজন বন্দির তথ্য জানা যাবে।

কারা বন্দিদের মানসিক উন্নয়নের জন্য মনোবিজ্ঞানী নিয়োগের বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। মনোবিজ্ঞানীদের মাধ্যমে ট্রেনিং দিয়ে বন্দিদের মানসিক উন্নয়ন সাধন সম্ভব। এছাড়াও বন্দিদের মানসিক উন্নয়নে বিভিন্ন ট্রেনিং কর্মশালা ব্যবস্থা রয়েছে। যাতে করে কারাগার থেকে বের হওয়ার পর তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে কর্ম করতে পারে।

এই লক্ষ্যে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-২ এ কারাবন্দিদের জন্য একটি মানসিক উন্নয়ন স্কুল তৈরি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘কারা সপ্তাহ ২০১৬’র স্লোগান ‘এবারের অঙ্গীকার, কারাগার হোক সংশোধনাগার’। আমরা এই লক্ষেই কাজ করছি।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. জাহাঙ্গীর কবিরসহ কারা অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, জানুযারি ১৬, ২০১৬
এজেডএস/এসজেএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।