ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সবজি মেলা শুরু

সবজি উৎপাদনের অর্জনকে ধরে রাখার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৬
সবজি উৎপাদনের অর্জনকে ধরে রাখার আহ্বান ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সবজি উৎপাদনের অর্জন ও সফলতাকে ধরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। সবজি চাষে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানে আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।



রোববার (১৭ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘জাতীয় সবজি মেলা ২০১৬’ ও ‘সবজি প্রদর্শনী’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সেমিনার শেষে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বৃহৎ আকারে প্রথমবারের মতো তিন দিনব্যাপী এ সবজি মেলা ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।

খামারবাড়ি সংলগ্ন আ. কা. মু গিয়াসউদ্দিন মিল্কী মিলনায়তনে 'হরেক রকম সবজি চাষে, সারা বছর অভাব নাষে' প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হওয়া জাতীয় সবজি মেলা ও সবজি প্রদর্শনীতে ১৫৭ রকমের সবজি প্রদর্শিত হচ্ছে।

সেমিনারে পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে আমরা সবজি উৎপাদনে তৃতীয়। এই অর্জন ও সফলতাকে ধরে রাখতে হবে। বৃহৎ দুই দেশ ভারত আর চীনের পরেই বাংলাদেশ সবজি উৎপাদনের জায়গাটি অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, পুষ্টির বিষয়ে যদি আমরা সচেতন করতে পারি তাহলে সবজির চাহিদা আরও বাড়বে।

সবজি রপ্তানিতে বড় সম্ভাবনা আছে উল্লেখ করে পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা থাকবে সবজির। এ ক্ষেত্রে অর্গানিক পণ্য তৈরিসহ আরও যেসব ক্ষেত্র আছে সেগুলোর প্রতি নজর দিতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, সবজি চাষে আমরাই প্রথম হাইব্রিড সবজি চাষের প্রচলন করেছিলাম। সেই সময়ে অনেকে অনেক কথা বলেছিলেন। কিন্তু আজকের সফলতা বলে দিচ্ছে সেই সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল। সবজি চাষের সফলতা শুধু আমরা বলি না, বিশ্ব বলে। সবজি চাষে বিশ্বে আমরা তৃতীয়, বিশ্ব তা স্বীকৃতি দিয়েছে।

তিনি বলেন, সারের সঙ্কট শক্ত হাতে আমরা মোকাবেলা করতে পেরেছি বলেই আজ এতো বড় সফলতা পেয়েছি।

বেশি বেশি করে সবজি খাওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সবজির ব্যবহার বাড়াতে হবে। রপ্তানির দিকে নজর দেওয়ার বিষয়টি আরো গুরুত্ব দিতে হবে।

কৃষি মন্ত্রী বলেন,  বিটি বেগুন নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। কিন্তু আপনাকে হয় পেস্টিসাইড খেতে হবে, নয়তো বিটি বেগুন। আপনি যদি সারা বছর সবজি খেতে চান তাহলে আপনাকে বিটি বেগুনকে সমর্থন করতে হবে।

বাজার বিষয়ে তিনি বলেন, শুধু ঢাকা কেন্দ্রিক বাজারের কথা ভাবলে হবে না। ঢাকার বাইরে আমাদের যেতে হবে।

পেস্টিসাইডের জন্য যদি জেনোসাইড হয় তাহলে এর জন্য দায়ী পশ্চিমাদেশই, মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

সমুদ্রসীমাকে কাজে লাগিয়ে সি হুইড, অর্গানিক পণ্য তৈরি, উন্নত বীজ, ভালো প্যাকেজিংয়ের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন কৃষিমন্ত্রী।

সবজি চাষের সামনে থাকা কৃষক ও পেছনে থাকা বিজ্ঞানী, গবেষক, সম্প্রসারণসহ সংশ্লিষ্টদের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান অতিথিরা।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আজাদ।

মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বীজ উইংয়ের মহাপরিচালক আনোয়ার ফারুক ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (সবজি বিভাগ) ড. জি এম এ হালিম।

সেমিনারের আগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। আয়োজনে রয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

** রাজধানীতে বসছে সবজির মেলা

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৬
একে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।