ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভুরুঙ্গামারী সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ দুই দফা পতাকা বৈঠক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
ভুরুঙ্গামারী সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ দুই দফা পতাকা বৈঠক

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার শালঝোড় সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নির্যাতনে আব্দুল গণি (৫০) নামে এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনায় বর্ডার গার্ড ‍বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে দুই দফা পতাকা বৈঠক হয়েছে।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা ১০ মিনিট থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে প্রথমে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে প্রথম পতাকা বৈঠক হয়।



পরে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে দুপুর ২টা ২০ মিনিট থেকে ২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ফের পতাকা বৈঠক হয়।

বৈঠকে ৪৫ বিজিবির পক্ষে ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল জাকির হোসেন ও বিএসএফের পক্ষে ৯৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট এ কে শিং নেতৃত্ব দেন।

এ সময় বিজিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশি হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।

তবে বৈঠকে বিএসএফ গরু ব্যবসায়ীদের ধরে নিয়ে যাওয়া, মারধর ও হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বলে বিজিবি সূত্র জানিয়েছে।

কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মো. জাকির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বিএসএফের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।

ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, সীমান্ত থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার ভোরে আব্দুল গণিসহ আট/১০ জন বাংলাদেশি শালঝোড় কাজিয়ার চর সীমান্তে গরু আনতে যান। এ সময় ভারতের ঝুলুলী বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা ধাওয়া করে আব্দুল গণি ও রইস উদ্দিনকে (২৫) ধরে ফেলে। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাদের বেদম মারধর করলে ঘটনাস্থলেই আব্দুল গণি মারা যান। বিএসএফের নির্যাতনে আহত রইস উদ্দিন পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। পরে গণির মৃতদেহ সীমান্তে ফেলে দেয় বিএসএফ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
এসআর

** ভুরুঙ্গামারী সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে বাংলাদেশি নিহত

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।