ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ধুলার পরে আসন পেতে প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
ধুলার পরে আসন পেতে প্রধানমন্ত্রী ছবি: আশরাফুল আলম খোকন, প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব

ঢাকা: এ এক অপূর্ব আনন্দ মেলা। গণভবন চত্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়িতে পিঠা-পুলির দাওয়াত খেতে এসেছেন অনেক মানুষ।

তাদের কেউ শিক্ষক, কেউ সাংবাদিক, কেউ সাহিত্যিক, কেউ সাংস্কৃতিক কর্মী। এমন কয়েক শ’ বিশিষ্ট ব্যক্তি এই উঠানে জমজমাট পিঠা উৎসব ও মেলায় অংশ নিয়েছেন।

ঘাসের চত্বরে এক দিকে প্যান্ডেল, অন্যদিকে ছোট্ট মঞ্চ সেজেছে। সেখানে চলছে নানা পরিবেশনা। কেউ গাইছেন, কেউ নাচ করছেন, কেউ বা করছেন কবিতা আবৃত্তি।

প্যান্ডেলে বসেছেন বিশিষ্টজনরা। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধুলার ওপর আসন পেতে শতরঞ্জিতে বসেছেন একদম মঞ্চের সামনে। তার পাশে ছোট বোন শেখ রেহানা ছাড়াও রয়েছেন অন্য অনেকে। সবার সঙ্গে আড্ডা জমিয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করছেন প্রধানমন্ত্রী।

বিভিন্ন পেশাজীবীর জন্য প্রতিবারের মতো এবারও পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী বাসভবন গণভবনে এ আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত আছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তার আগে প্রধানমন্ত্রী ঘুরে ঘুরে সবার সঙ্গে কুশল ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

‘ও ধান ভানিরে ঢেঁকিতে পাড় দিয়া’ গানটির মধ্য দিয়ে ছোটদের নৃত্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। নৃত্যের পরিচালনা করেন মুনমুন আহমেদ।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের মেয়ে রাইসা আহমেদ সেরা এরপরে গান গেয়েছেন। তিনি গান ‘আঁখি জল’ গানটি।  

অপূর্ব দত্তের লেখা কবিতা ‘বাংলা-টাংলা’ আবৃত্তি করেন ডালিয়া আহমেদ।  

লাইসা আহমেদ লিসা পরিবেশন করেন ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। এরপর অভিনেতা মীর সাব্বির বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কেউ কথা রাখেনি’ কবিতা আবৃত্তি করে শোনান।

সাজেদ আকবর এবং সালমা আকবর যৌথভাবে দু’টি গান পরিবেশন করেন। তারা গান- ‘মায়াবন বিহারিণী হরিণী’, ‘ফুলে ফুলে দুলে দুলে’।

প্রিয়াংকা গোপ ‘এই বাংলার মাটিতে মাগো জন্ম আমারে দিও’ গান পরিবেশন করেন।

এরপর শুরু হয় রাখাইন সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে তাদের দলীয় নৃত্য পরিবেশনা। শেষে বিশিষ্ট নাট্যজন জয়ন্ত চট্টপাধ্যায় একটি কবিতা আবৃত্তি করেন।

সন্ধ্যার পরে নারর্গিস ফাতেমা গেয়ে শোনান ‘তোমাকে শোনাতে চাই এই গানের বীণা’ গানটি।

ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসেন ‘সুরঞ্জনা ওইখানে যেয়ো নাকো তুমি’ কবিতা পাঠ করেন।

তিমির নন্দী গান শোনান ‘একটি মুজিবুরের কণ্ঠে’ এবং ‘পদ্মাপাড়ে আমার ছোট্ট সোনার গ্রাম’। শ্যামা রহমান গেয়েছেন ‘কহ কানে কানে শোনাও প্রাণে প্রাণে’, ‘মঙ্গল বারতা’।

এরপর হয়েছে মুনমুন আহমেদের পরিচালনায় নৃত্যনাট্য ‘অভিযাত্রা’। পরে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক ডা. জুলফিকার আলী লেনিন গান করেছেন।

তারপর মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব নাছিমা বেগম নিজের লেখা কবিতা পাঠ করেন। অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী দু’টি গান করেছেন। এর মধ্যে একটি হলো- নিথুয়া পাথারে নেমেছি বন্ধুরে।

দু’টি বাউল সংগীত গেয়েছেন শফি মন্ডল। পরে ফারহানা চোধুরী বেবীর নেতৃত্বে সমাবেত নাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা; জানুয়ারি ১৮, ২০১৬/আপডেট ১৮০৬
আইএ/এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।