ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠিয়ে মন্ত্রীর আফসোস!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৬
বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠিয়ে মন্ত্রীর আফসোস! ছবি :রাজিব/ বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কম

ঢাকা: দেশের দক্ষ জনশক্তি ব্যবহার করে অন্য দেশ এগিয়ে যাচ্ছে অথচ বাংলাদেশ তাদের যথাযোগ্য ব্যবহার করতে পারছে না বলে আফসোস করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি।

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) ইস্কাটনের প্রবাসী কল্যাণ ভবনে অনাবাসী বাংলাদেশিদের সিআইপি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে এ আক্ষেপ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে ২০১৪ সালের বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ১০ ব্যক্তির হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেন তিনি।

নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যে, বিদেশে গিয়ে আমার লোক নাও, আমার লোক নাও- এই অনুরোধ যাতে করতে না হয়। আমরাই বিদেশ থেকে লোক নিয়ে আসব। ’

অনাবাসী বাংলাদেশিদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেশে বিনিয়োগ করুন। কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে আমার কাছে আসবেন। প্রতিবন্ধকতা আমি দূর করার চেষ্টা করব। দূর করতে না পারলে আমি পদত্যাগ করে চলে যাব। ’

তিনি বলেন, ‘দক্ষ জনশক্তি আমরা বিদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছি। দেশে এমন কোনো কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারি নাই, যা দিতে তাদের দেশে কাজে লাগাতে পারব। শ্রমিকদের কাজে লাগাতে আপনারা (অনাবাসী বাংলাদেশিরা) এগিয়ে আসেন। দেশে বিনিয়োগ করতে ব্যাংক, জায়গা-জমি বা যেকোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা আসুক না কেন, আপনাদের সঙ্গে আমি নিজে গিয়ে সেসব মোকাবেলা করব। ’

২০০৬ সালের নীতিমালা অনুযায়ী দেশের অর্থনীতিতে অনাবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার সিআইপি (বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) কার্ড দিয়ে থাকে। এই নীতিমালা অনুযায়ী শিল্প ক্ষেত্রে সরাসরি অবদানের জন্য ১০ জন, বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণের জন্য ১০ জন, বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক হিসেবে ৫ জনকে সিআইপি হিসেবে নির্বাচন করা হয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘ওই নীতিতে কিছুটা শিথিলতা আনার প্রেক্ষিতে ২০১৬ সাল থেকে শিল্প ক্ষেত্রে সরাসরি অবদানের জন্য ১০ জনের পরিবর্তে ২০ জন, বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণের জন্য ১০ জনের পরিবর্তে ৫০ জন, বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক হিসেবে ৫ জনের পরিবর্তে ২০ জনকে সিআইপি হিসেবে নির্বাচন করা হবে। আশা করি নির্বাচিত সিআইপিরা আরও উৎসাহিত হবেন এবং দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে। ’

২০১৪ সালের জন্য সিআইপি মর্যদা পাওয়া ১০ অনাবাসী বাংলাদেশি হলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক আল হারামাইন পারফিউম’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান, একই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মোহাম্মদ অলিউর রহমান, একই দেশের স্টার গোল্ড’র নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম, ওমানের রাশেদ এস্টাবলিস্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ কামাল পাশা, ইতালির ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইদ্রিছ ও জাহাঙ্গীর মোহাম্মদ হোসেন, ওহিদ মোল্লা, ওমানের মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া, সাজেদা নূর বেগম, বাহরাইনের মোহাম্মদ শফি উদ্দিন।

সিআইপি কার্ডপ্রাপ্তরা মন্ত্রীর কাছে কার্ডের মেয়াদ এক বছরের পরিবর্তে দুই বছর করার অনুরোধ জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৬
জেপি/এমজেএফ/

** ১০ প্রবাসী বাংলাদেশিকে সিআইপি কার্ড প্রদান

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।