ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৬ জনের ফাঁসি নিয়ে হাইকোর্টের বিভক্ত রায়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৬
৬ জনের ফাঁসি নিয়ে হাইকোর্টের বিভক্ত রায়

ঢাকা: বাগেরহাটের পশুর নদীতে র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের ৩ সদস্যকে হত্যা মামলায় ছয় জনের ফাঁসি ও সাতজনের যাবজ্জীবন নিয়ে বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ, জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিলের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নিজামুল হক সবাইকে খালাস এবং বিচারপতি মো.ফারুক (এম ফারুক) সবাইকে যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ দেন।



নিয়ম অনুসারে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য এখন প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে। প্রধান বিচারপতি নিষ্পত্তির জন্য একজন বিচারপতির বেঞ্চ (একক বেঞ্চ) গঠন করে দেবেন।

আদালতে এক আসামির পক্ষে ছিলেন প্রবীর হালদার।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.মনিরুজ্জামান (রুবেল) ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম আজাদ। পলাতকদের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মমতাজ বেগম।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১ ডিসেম্বর ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার খবর পেয়ে গোপন সূত্রে অভিযান চালায় র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের একটি দল।

এ সময় সুন্দরবন সংলগ্ন পশুর নদীতে দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে ডাকাতদের কোনঠাসা করে তাদের ট্রলারে উঠে পড়েন র‌্যাব ও কোস্টগার্ড সদস্যরা।

ট্রলারে ডাকাতদের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয় এবং এক পর্যায়ে কোস্টগার্ড সদস্য এমএইচ কবির, এমএ ইসলাম ও র‌্যাব সদস্য পিসি কাঞ্চনকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আসামিরা।

পরদিন পশুর নদী থেকে ওই তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একই বছরের ২ ডিসেম্বর র‌্যাব-৬ এর তৎকালীন ডিএডি মহসিন আলী অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মংলা থানায় মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৮ মে ১৫জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এ সময় ৬ জন গ্রেফতার ছিলেন।  

রাষ্ট্রপক্ষে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ১৯ আগস্ট বাগেরহাটের দায়রা জজ এস এম সোলায়মানের আদালত ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং সাতজনকে যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ দেন। বাকি দু’জনকে খালাস দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন, রফিকুল শেখ, কুদ্দুস শেখ, ইদ্রিস শেখ, বাবুল শেখ, আলকাস ফকির ও ইলিয়াস শেখ।

যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন, রিয়াজুল শেখ, আকরাম শেখ, আলম শেখ, বাদশা শেখ, জামাল শেখ, কামাল শেখ, আসলাম শেখ। খালাস পাওয়া দুজন হলেন, নান্না শেখ ও মিজানুর রহমান।

এর মধ্যে গ্রেফতার ছয় আসামি জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন। তবে পলাতক আসামি ইলিয়াস শেখ আত্মসমর্পণ করে হাইকোর্টে আপিল করেন।

মো. মনিরুজ্জামান রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, মৃত্যদণ্ড নিশ্চিতকরণ এবং ইলিয়াস শেখের আপিলের পর হাইকোর্টে এ মামলার শুনানি হয়। ১২ আসামি পলাতক থাকলেও রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী থাকার কথা বলে সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি। অন্যদিকে কনিষ্ঠ বিচারপতি সবাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯,২০১৬
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।