ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রধান বিচারপতির এক বছর

‘সবাই সহযোগিতা করলে বিচার ব্যবস্থা রোল মডেল হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৬
‘সবাই সহযোগিতা করলে বিচার ব্যবস্থা রোল মডেল হবে’ সুরেন্দ্র কুমার সিনহা

ঢাকা: সরকার, বিচারক, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী জনগণ তথা দেশবাসীর পূর্ণ সহযোগিতা পেলে বিদ্যমান মামলাজট দ্রুত নিরসন সম্ভব হবে। অল্প খরচে স্বল্প সময়ে গুণগত বিচার পাওয়া সম্ভব হবে এবং এ দেশের বিচার ব্যবস্থা বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।


 
বাংলাদেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এ আশা প্রকাশ করেন। গত ১৭ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি হিসেবে এক বছর পূর্ণ করেন তিনি।
 
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে এ বাণী প্রকাশ করা হয়েছে।
 
বাণীতে গণমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, গণমাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে এক বছরের দায়িত্ব পালন বিষয়ে উৎসাহ ব্যঞ্জক সংবাদ প্রকাশ করেছে। প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবে কৃতজ্ঞতা জানানো সম্ভব নয় ও বিচারক হিসেবে কথা বলার পরিসরও সীমিত বিধায় তিনি বাণীর মাধ্যমে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
 
এছাড়াও বাণীতে প্রধান বিচারপতি গত এক বছরে মামলা জট নিরসনে গৃহীত পদক্ষেপ, বিচার বিভাগের ডিজিটালাইজেশন, মামলা ব্যবস্থাপনা, আদালত সংস্কার, বিচারকদের প্রশিক্ষণ, মামলা নিষ্পত্তির হার, দেশের আদালত সমূহের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বিভিন্ন আদালত পরিদর্শনের তথ্য তুলে ধরেন।
 
সুপ্রিম কোর্টের মামলাজট নিরসনকল্পে বিদ্যমান অবকাশকালীন ছুটি কমিয়ে আনা ও যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তিকৃত মামলার রায় লেখা নিশ্চিত করার জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করা সত্ত্বেও সহকর্মী সব বিচারপতিকে এ বিষয়ে সম্মত করতে সমর্থ হইনি। এটা আমার ব্যর্থতা। কোনো কোনো বিচারক রায় লিখতে অস্বাভাবিক বিলম্ব করেন, আবার কেউ কেউ অবসর গ্রহণের দীর্ঘদিন পর পর্যন্ত রায় লেখা অব্যাহত রাখেন, যা আইন ও সংবিধান পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
 
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বাংলাদেশের সংবিধান, আইনের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধানের শপথ গ্রহণ করেন। কোনো বিচারপতি অবসর গ্রহণের পর তিনি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে গণ্য হন বিধায় তার গৃহীত শপথও বহাল থাকে না।

আদালতের নথি সরকারি দলিল। একজন বিচারপতি অবসর গ্রহণের পর আদালতের নথি নিজের কাছে সংরক্ষণ, পর্যালোচনা বা রায় প্রস্তুত করা এবং তাতে দস্তখত করার অধিকার হারান। বিচারকরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এমন বেআইনি কাজ থেকে বিরত থাকবেন বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৬
ইএস/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।