ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হাজারীবাগ ট্যানারিমুক্ত হচ্ছে জানুয়ারিতে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৬
হাজারীবাগ ট্যানারিমুক্ত হচ্ছে জানুয়ারিতে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ফাইল ফটো

সরকারের নির্দেশনা মেনে নিচ্ছেন ট্যানারি শিল্প মালিকরা। আগামী পহেলা জানুয়ারি থেকে হাজারীবাগে আর কোনো কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজাত করা হবে না। তবে এরপরও যদি কেউ হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া ঢুকায় তাহলে দায়ভার ওই প্রতিষ্ঠানের। এজন্য কেউ সুপারিশ করতে আসবে না।

ঢাকা: সরকারের নির্দেশনা মেনে নিচ্ছেন ট্যানারি শিল্প মালিকরা। আগামী পহেলা জানুয়ারি থেকে হাজারীবাগে আর কোনো কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজাত করা হবে না।

তবে এরপরও যদি কেউ হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া ঢুকায় তাহলে দায়ভার ওই প্রতিষ্ঠানের। এজন্য কেউ সুপারিশ করতে আসবে না।

হিসাব মতে জানুয়ারিতেই হাজারীবাগ এলাকা ট্যানারিমুক্ত হচ্ছে। ফলে হাজারীবাগবাসী কাঁচা চামড়ার দূষণ থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন।

ইতোমধ্যে ৬০-৬৫টি ট্যানারি সাভার জেলার বলিয়াপুর, হরিণধারায় নতুন ট্যানারি শিল্প নগরীতে তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে। যেসব ট্যানারি এখনও যায়নি, সেগুলো শিফটের মধ্যেই রয়েছে।

ফলে আগামী জানুয়ারি থেকে সাভার ট্যানারি শিল্প নগরীতে পুরোপুরি কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াকরণের কাজ শুরু হবে। সরকারি-বেসরকারি ও আদালতের দীর্ঘ দিনের চাপে অবশেষে ট্যানারি মালিকদের টনক নড়েছে।

ট্যানারি স্থানান্তর নিয়ে বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন বাংলানিউজকে বলেন, পহেলা জানুয়ারি থেকে হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া ঢুকবে না মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনার সঙ্গে আমরাও একমত। এরপরও যদি কেউ কাঁচা চামড়া হাজারীবাগে ঢুকায় তাহল দায়ভার ওই প্রতিষ্ঠানের। সরকার যে কোন ব্যবস্থা নিলে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হবে না।

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) সভাপতি শাহিন আহমেদ বলেন, আমাদের সবার উচিত জানুয়ারির মধ্যেই সাভারে স্থানান্তর করা। তবে বাস্তবতা হচ্ছে জানুয়ারির মধ্যে সবগুলো স্থানান্তর সম্ভব না। এখন প্রতিদিনই গড়ে একটা, দুইটা করে ট্যানারি হাজারীবাগে শিফট হচ্ছে। পহেলা জানুয়ারির পর হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া ঢুকবে না এ ধরনের নির্দেশনা আমার জানা নেই।

দুই সংগঠনের প্রায় ১৬০টি ট্যানারি রয়েছে। এরমধ্যে বিটিএ’র ১০৫টি আর বিএফএলএলএফইএ’র ৫৫টি। এখন পর্যন্ত বিটিএ’র ৩০টি কারখানা সাভারে উৎপাদন শুরু করেছে। বাকিরা শিফটিং প্রক্রিয়ার মধ্যেই রয়েছে। এছাড়া বিএফএলএলএফইএ’র ৩০টির মতো সাভারে কাজ শুরু করেছে। বাকিরা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই চলে যাবে বলে আশা করছে সংগঠন।

এদিকে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) তথ্যানুযায়ী কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) আরও আগে থেকেই চালু করা হয়েছে। বাকি ট্যানারি আসলে পুরোপুরি কাজ শুরু করবে সিইটিপি।

জনস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে ২০০৩ সালে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্পনগরী অপেক্ষাকৃত কম জনবসতি এলাকা সাভারে ট্যানারি শিল্প নগরী স্থানান্তরের চিন্তা ভাবনা করে সরকার। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দেখভাল করছে শিল্প মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)।

সাভারের বলিয়াপুরে ২০০ একর জায়গাজুড়ে পরিবেশবান্ধব চামড়া শিল্পনগর গড়ে তোলা হচ্ছে। এরমধ্যে সাড়ে ১৭ একর জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে শুধুমাত্র সিইটিপি। ২০০৩ সালের ১৬ আগস্ট একনেকে চামড়া শিল্পনগর প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০০৫ সালে। কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ায় দফায় দফায় সময় ও ব্যয় বাড়ে। এই শিল্পনগরে ২০৫টি প্লটে ১৬০টি কারখানা স্থাপন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৬
এসএম/এমজেএফ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।