ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিজয় দিবস উদযাপনে রাজশাহীতে এবার ব্যাপক কর্মসূচি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬
বিজয় দিবস উদযাপনে রাজশাহীতে এবার ব্যাপক কর্মসূচি

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে রাজশাহী জেলা প্রশাসন এবার দুই দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বুধবার...

রাজশাহী: বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে রাজশাহী জেলা প্রশাসন এবার দুই দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, বিজয় দিবস উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে বিজয় শোভাযাত্রা বের করা হবে। শোভাযাত্রাটি ভদ্রার স্মৃতি অম্লান থেকে স্বচ্ছ টাওয়ার হয়ে রেলস্টেশন এবং কাশিয়াডাঙ্গা মোড় হয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হবে।

সকালে শিশু একাডেমিতে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনে আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ইসলামী গান, কবিতা আবৃত্তি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। বিকেলে শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আগামী শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হবে। একই সময়ে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

সকাল নয়টায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার আবদুল হান্নান আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। তিনি এ সময় জেলা সদরের বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, শিশু কিশোর সংগঠন, কারারক্ষী, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট ও গালর্স গাইডের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করবেন।

সকালে কামারুজ্জামান চত্বরে আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হবে। প্রবেশ মূল্য ছাড়া সকাল-সন্ধ্যা পর্যন্ত জাদুঘর, পার্ক, চিড়িয়াখানা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এদিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশু সদন, শিশু নিবাস, অন্ধ, মুক ও বধির বিদ্যালয়, সেফ হোম, এস ও এস শিশু পল্লি, শিশু বিকাশ কেন্দ্র এবং বেসরকারি এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।

জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে জুমার পর মসজিদসমূহে মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে সুবিধামত সময়ে প্রার্থনা করা  হবে। এদিন সব সিনেমা হল ও জনবহুল মোড়সমূহে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।

বিকেলে রিভারভিউ কালেক্টরেট স্কুল মাঠে আলোচনা সভা ও মহিলাদের ক্রীড়ানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। একই সময়ে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ একাদশ বনাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা একাদশ এবং মেয়র একাদশ বনাম বিভাগীয় কমিশনার একাদশ প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

সন্ধ্যায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের গ্রিন প্লাজায় খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে।

উভয় দিন সন্ধ্যা থেকে মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে আলোকসজ্জা করা হবে। এছাড়া রাজশাহী সিটি করপোরেশন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনসমূহ পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন করবে বলেও জানানো হয় ওই তথ্য বিবরণীতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬
এসএস/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।