ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ    

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ      ছবি: জিএম মুজিবুর  

বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদকে শ্রদ্ধা জানাবে জাতি। 

জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে: বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদকে শ্রদ্ধা জানাবে জাতি।  

১৬ ডিসেম্বর ভোর থেকে নামবে হাজারো জনতার ঢল।

শ্রদ্ধার ফুলে ভরে উঠবে স্মৃতির মিনার। এরই মধ্যে শ্রদ্ধার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
 
বিজয় দিবসের আগে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে স্মৃতিসৌধ এবং আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জাতীয় পতাকার রঙের সঙ্গে মিল রেখে লাল-সবুজ বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। বিজয়ের রঙের ছোঁয়া লেগেছে চারপাশে। ঝকঝকে, তকতকে করা হয়েছে স্মৃতিসৌধ ও আশপাশের এলাকা। রাস্তা ও ফুটপাতগুলোতেও লেগেছে তার ছোঁয়া।
 
বিজয় দিবসের দিনে সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানিয়ে এই এলাকা থেকে যাওয়ার পর স্মৃতিসৌধ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। প্রতিবারের মতো এবারো ফুল, লাল-সবুজ রঙের পোশাক পরে স্মৃতিসৌধে জড়ো হবেন ছেলে বুড়ো সব বয়সের মানুষ। ছবি: জাতীয় স্মীতিসৌধ
 
বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন স্মৃতিসৌধে।
 
ঢাকা থেকে সাভার যেতে পুরো রাস্তা, বিভিন্ন স্থাপনা ও আশেপাশে ব্যানার-ফেস্টুন এবং লাল-সবুজ বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসও সেজেছে বর্ণিল সাজে।
 
বিজয় দিবস ‍উপলক্ষে এই এলাকায় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় কাজ করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
 
রাতের আধার কেটে রঙিন আলোয় যেন বিজয়ের গৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে স্মৃতিসৌধ। নিরবতার মাঝে অপূর্ব মোহনীয় সৌন্দয্য ছড়াচ্ছে লাখো শহীদের ত্যাগের প্রতিক এই স্মৃতিসৌধ।
 
ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে সাভার থানার নবীনগরে ৪০ একর জমিতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের অবস্থান। স্বাধীনতার পর এখানে অনেক গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছিল, এজন্য এই জায়গাটিকে স্মৃতিসৌধের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
 
স্বাধীনতা যুদ্ধ ও শহীদদের ত্যাগের স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য এ স্মৃতিসৌধ। ১৫০ ফুট উচ্চতার স্মৃতিসৌধের কংক্রিট নির্মিত সাতটি ত্রিভূজাকৃতির স্তম্ভ দিয়ে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের সাতটি পর্যায়কে বোঝানো হয়। প্রথম স্তম্ভটির উচ্চতা কম হলেও প্রস্থে সবচেয়ে বড়। এটিকে আন্দোলনের সূচনা অর্থাৎ বায়ান্ন-এর ভাষা আন্দোলনকে বোঝানো হয়েছে। পরবর্তী স্তম্ভগুলো দ্বারা যথাক্রমে ১৯৫৪, ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৬৬৯ এবং ১৯৭১ সালকে বোঝানো হয়েছে। সর্বোচ্চ স্তম্ভটির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কেই বোঝানো হয়।
 
জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল কাঠামোর নকশা তৈরি করেন স্থপতি মইনুল হোসেন।
 
১৯৭২ সালের ডিসেম্বর প্রথম বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতিসৌধের ভিত্তি প্রস্তরস্থাপন করেন। ১৯৮২ সালের আগস্ট মাসে স্মৃতিসৌধের নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
 
স্মৃতিসৌধ আঙিনায় আকর্ষণীয় প্রশস্ত প্রবেশ পথ, গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা, উন্মুক্ত মঞ্চ, সেতু, ফুলের বাগান, অভ্যর্থনা কেন্দ্র ও হেলিপ্যাড, মসজিদ, রেস্টুরেন্ট, প্রবেশ পথের দু’পাশে নানা জাতের ফুলগাছ, পাশেই আছে কৃত্রিম জলাশয়, যেখানে স্মৃতিসৌধের ছবি প্রতিফলিত হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ০২১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৬
এমইউএম/এমআইএইচ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।