ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে রাষ্ট্রপতির সালাম গ্রহণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৬
বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে রাষ্ট্রপতির সালাম গ্রহণ ছবি- সংগৃহীত

স্বাধীনতার ৪৫ বছর পূর্তিতে জাতীয় প্যারেড ময়দানে মহান বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।

ঢাকা: স্বাধীনতার ৪৫ বছর পূর্তিতে জাতীয় প্যারেড ময়দানে মহান বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
 
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় শুরু হয় এ কুচকাওয়াজ।

সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্যারেড স্কয়ারে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার রাষ্ট্রপ্রতিকে অভ্যর্থনা জানান।
 
রাষ্ট্রপতি খোলা জিপে চড়ে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। পরে অভিবাদন মঞ্চে দাঁড়িয়ে সালাম গ্রহণ করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা।
 
অভিবাদন মঞ্চের উল্টো দিকে বাদক দল মঞ্চের পেছনের দিকে বঙ্গবন্ধুর বিশাল প্রতিকৃতি রাখা হয়, যার পাশে ছিলো জাতীয় চার নেতা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং উপরে ছিলো মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাত বীরশ্রেষ্ঠের ছবি।

বাদক দলের মঞ্চের পাশে প্রদর্শন করা হয় লাল সুবজ তৈরি সুদীর্ঘ জাতীয় পতাকা।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, সচিব, সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা, বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও বিভিন্ন মিশনের প্রধান এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন।
 
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।
 
ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর লে. জেনারেল জি এস সিহোতার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ২৭ জন বীর যোদ্ধা এবং রাশিয়া সশস্ত্র বাহিনীর কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
 
সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশন আয়োজিত কুচকাওয়াজে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী, বিএনসিসি, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও ভিডিপি, কোস্টগার্ড এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা অংশ নেন।
 
এবারের কুচকাওয়াজের অধিনায়ক হিসেবে নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও উপ অধিনায়কের দায়িত্বপালন করেন ৮১ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এটিএম আনিসুজ্জামান। এছাড়া যান্ত্রিক বহরের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ৯ আর্টিলারি ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ শিব্বির আহমেদ।
 
কুচকাওয়াজে ২০০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১২০ প্রস্থের ‍বৃহৎ জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করা হয়।
 
কুচকাওয়াজের যান্ত্রিক বহরে সমরাস্ত্র এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
 
যান্ত্রিক বহর প্রদর্শনীর পরই মনোজ্ঞ ফ্লাইপাস্ট ও এরোবেটিক ডিসপ্লে। বিমানের ফ্লাইপাস্টের নেতৃত্ব দেন এয়ার কমডোর মোহাম্মদ মফিদুর রহমান।
 
জাতীয় পতাকা ও রাষ্ট্রপতির পতাকাসহ আকাশ থেকে জাম্প করে প্যারাশুট ট্রুপাররা।
বিমানবাহিনীর কে-৮ ডব্লিইউ, এফ-৭ বিজিওয়ান ও মিগ-২৯বি যুদ্ধ বিমান অ্যারোবেটিক ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। রাষ্ট্রপতিকে ‘ফ্লাইং স্যালুট’ দেয় যুদ্ধ বিমান ‘মিগ-২৯’। যুদ্ধ বিমানগুলো লাল সবুজ ধোঁয়া উড়িয়ে রাষ্ট্রপতিকে অভিবাদন জানায়, বিজয় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।

সবশেষে রাষ্ট্রপতিকে অভিবাদন জানায় সম্মিলিত বাদক দল। কুচকাওয়াজ শেষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্যারেডে অংশগ্রহণকারী সব কন্টিনজেন্ট কমান্ডারদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৬
এমইউএম/আরআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।