ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এতো ইতিহাস বিকৃতি পৃথিবীর কোনো দেশে আর নেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬
এতো ইতিহাস বিকৃতি পৃথিবীর কোনো দেশে আর নেই ছবি: সংগৃহীত

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীন বাংলাদেশে ইতিহাস বিকৃতির শুরু বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আক্ষেপের সুরে বলেছেন, এতো ইতিহাস বিকৃতি পৃথিবীর কোনো...

ঢাকা: পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীন বাংলাদেশে ইতিহাস বিকৃতির শুরু বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আক্ষেপের সুরে বলেছেন, এতো ইতিহাস বিকৃতি পৃথিবীর কোনো দেশে আর নেই।

তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা মুক্তিযুদ্ধের সময় কেউ কেউ খেতাবও পেয়েছেন।

তবে তারা মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করতেন কি-না, তা নিয়েই সন্দেহ আছে। কারণ, তারাই এদেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন, পতাকা তুলে দিয়েছেন। আর তারাই এখন কী করে গণতন্ত্রের কথা বলেন!’

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা কখনোই স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নতি চাননি। তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছেন, বাঙালির আত্মত্যাগের ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছেন। ২১ বছর এদেশের মানুষকে বিভিক্ত করা হয়েছিল। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ইতিহাস বিকৃতি থেকে এই দেশ মুক্তি পায়। তবে বাংলাদেশের মানুষ বার বার সংগ্রাম করে অধিকার আদায় করেছেন। এক্ষেত্রেও তারা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নিজস্ব অধিকার আদায় করে নিয়েছেন’।

তিনি বলেন, ‘বারবারই আমাদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের আগে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর থেকে বঙ্গবন্ধু যে নির্দেশনা দিতেন, প্রতিটি বাঙালি সেটি মেনে চলতেন। দেশ স্বাধীন হয় বঙ্গবন্ধুর ডাকে। আওয়ামী লীগ মাত্র ৯ মাসে দেশের সংবিধান দিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলেছে- এসবই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য সম্ভব হয়েছে’।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই বাংলাদেশের মানুষ তাদের সব রকম সুযোগ-সুবিধা, অধিকার পান বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আর অন্যরা হত্যা, ক্যুয়ের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করে লুটে খায়’।

ছিয়ানব্বইয়ের ১৫ ফেব্রুয়ারি কারচুপির নির্বাচন করা করেছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আয়নায় চেহারা দেখুন, চেহারা শুধু সাজুগুজু করার জন্যই নয়। আমরা গণতন্ত্র এনেছি, গণতন্ত্র অব্যাহত রাখবো। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হবে’।

‘খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেননি। কারণ, তিনি জানতেন যে, ভোট পাবেন না। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি। তাই যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি ভোট পাবে না জেনেই তারা নির্বাচন বর্জন করে’।

আরও পড়ুন:
আ’লীগ ক্ষমতায় এলেই মানুষ পায়, অন্যরা সব লুটেরা দল
খালেদা ক্ষমতায় আসে গ্যাস বেচে


বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬
আইএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।