ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৩ বছরেও সুরাহা হয়নি আতিকউল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬
৩ বছরেও সুরাহা হয়নি আতিকউল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলার

তিন বছর পার হলেও এখানো সুরাহা হয়নি মুক্তিযোদ্ধা আতিকউল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলার। উল্টো আসামিরা সাক্ষীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।

কেরানীগঞ্জ ঢাকা: তিন বছর পার হলেও এখানো সুরাহা হয়নি মুক্তিযোদ্ধা আতিকউল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলার। উল্টো আসামিরা সাক্ষীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।

২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর নিখোঁজ হয় কেরানীগঞ্জ উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আতিকউল্লাহ চৌধুরী। পরদিন বিকেলে ওই ইউনিয়নের ১০ শয্যা বিশিষ্ট্য হাসপাতাল থেকে তার পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্বাসরোধে হত্যার পর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো মুক্তিযোদ্ধা আতিকউল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ।

এ ব্যাপারে আতিকউল্লাহ চৌধুরীর ছেলে কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ফারুক চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমার বাবার জনপ্রিয়তায় ক্ষুদ্ধ হয়ে গুলজার মেম্বার ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে তাকে হত্যা করিয়েছে। গুলজার মেম্বার বিভিন্নভাবে কোন্ডা ইউনিয়নে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করতো। কিন্তু আমার বাবার কারণে পারতো না, তাই সে আমার বাবাকে খুন করেছে। হত্যার পর দুই আসামি আসিফ ও শম্পা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

পরে পুলিশ প্রায় ১ বছর পর ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি মামলার চার্জশিট দাখিল করে। চার্জশিটে স্বীকারোক্তি দেওয়া ২ আসামিসহ আরো ৬জনকে আসামি করা হয়। বাকী আসামিরা হলো গুলজার মেম্বার, সিহাব আহমেদ শিবু, ইমন, টুন্ডা আমিন, তাজুল ইসলাম তানু ও জাহাঙ্গীর খাঁ। পরে মামলাটি ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল-১ এ স্থানান্তর করা হয়।

আসিফ ও শম্পা আদালতে জবানবন্দিতে জানায়, গুলজার মেম্বার অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে মোবাইলে ফোন দিয়ে আমার বাবাকে হাসপাতালে ডেকে নিয়ে যায়। ওই সময় শম্পা আমার বাবাকে বলে হাসপাতালে মাদকসেবীরা ঝামেলা করছে। পরে বাবা হাসপাতালে গেলে আসিফ, সিহাব আহমেদ শিবু, ইমন, টুন্ডা আমিন, তাজুল ইসলাম তানু ও জাহাঙ্গীর খাঁ বাবাকে খুন করে।

আদালতে আসিফ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে জানায়, কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া তাদের ৬ জনের প্রত্যেককে ৭ লাখ টাকা করে দিয়েছে গুলজার মেম্বার। মামলার আসামি টুন্ডা আমিন পলাতক ও জাহাঙ্গীর খাঁ জেলহাজতে থাকলেও বাকী ৬ আসামি জামিনে রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচারের আশায় মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে আবেদন করলে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।

৩ মাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার কথা থাকলেও মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের ১ বছর হলেও এখনো কোন সুরাহা হয়নি। সবেমাত্র ৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। মামলার আসামিরা বিভিন্নভাবে সাক্ষীদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।

মুক্তিযোদ্ধা আতিকউল্লাহ চৌধুরীর ছোট ভাই আবু খালেক চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, মামলায় সাক্ষ্য না দেওয়ার জন্য আসামিরা মোবাইল ফোনে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।