বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী রংপুর বিভাগের পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের বিভিন্ন পেশাজীবী জনগণের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সময় এ নির্দেশ দেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ, পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম, গাইবান্ধা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী, কমিউনিটি ক্লিনিকের ইনচার্জ, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের একজন সুবিধাভোগী নারীর সঙ্গে কথা বলেন এবং বিভিন্ন সমস্যা ও সংকট সম্পর্কে অবহিত হন।
একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সরকার দলীয় সংসদ সদস্য লিটনের হত্যাকাণ্ডকে জঙ্গিবাদ, জামায়াত-শিবির চক্রের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন।
এসময় তিনি ২০১৩ ও ২০১৪ সালে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্যাপুর, পলাশবাড়ি, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর উপজেলায় সংগঠিত জামায়াত-শিবির জঙ্গিগোষ্ঠীর তাণ্ডব সহিংসতা, খুন, রাহাজানি, অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশ হত্যা ঘটনায় গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চান। পুলিশ সুপারের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ ও ২০১৪ সালের ঘটনা এখন পর্যন্ত দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
পরে জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ প্রধানমন্ত্রীকে জানান, গাইবান্ধা জেলায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৬৩টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৮৪টি প্রকল্প ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে এবং ৭৯টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া, হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি, অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামস-উল-আলম হিরু, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধা পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলনসহ সব অঙ্গ সংগঠনের নেতারা, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আলেম সমাজ, শিক্ষক, এনজিও কর্মী, ছাত্র-ছাত্রীসহ সব পর্যায়ের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ স্বাধীনতা প্রাঙ্গণ মাঠে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৭
আরবি/আরএ