মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) রাতে নোয়খালী ইউনিয়নের হুরিওয়ালার দোকানের সামনে পিটুনির শিকার হন তিনি। বুধবার (০৪ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে ইউনিয়নের ধুমচর গ্রামের নিজ বাড়িতে শামীম মারা যান।
আটক ব্যক্তিদের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
নিহতের বড় ভাই সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক মহিন উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার রাতে শামীম বাড়ি ফিরছিলেন। পথে হুরিওয়ালার দোকানের সামনে এলে স্থানীয় সোহেল ও মাসুদসহ চার-পাঁচজন সন্ত্রাসী তার কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে না চাইলে তারা শামীমকে বেদম মারপিট করে আটকে রাখেন। পরে ১০ হাজার টাকা দিয়েও তাদের কাছ থেকে ছাড়া পাননি তিনি। শেষে প্রতিবেশী নিজাম ১০ হাজার টাকা আদায় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শামীমকে ছাড়িয়ে আনেন। বুধবার বিকেলে বাকি ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল শামীমের। কিন্তু এর আগেই তার মৃত্যু হয়।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী সদর হাসপতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৭
এসআই