বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র বলছে, রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ দিতে মায়ামারের কাছে বারবার আবেদন জানিয়ে আসছে জাতিসংঘ ও অন্যান্য পর্যবেক্ষক সংস্থা।
এ লক্ষ্যেই মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ দেখায়, এতে রাজি হয়ে যায় ঢাকাও। সফরকালে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন জেলাগুলো এবং রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ক্যাম্পগুলো পরিদর্শন করবে।
এর আগে, গত মাসে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এ সময় রোহিঙ্গাদের মানবেতর অবস্থার কথা স্বীকার করলেও মূল সমস্যা নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে এ বিষয়ে আরও সংবেদনশীল হতে নাইপিদোর প্রতি আহ্বান জানান রেতনো।
এদিকে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বৈঠক করতে ঢাকা আসছেন মায়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর (কার্যত সরকারপ্রধান) ও ক্ষমতাসীন দল এনএলডি’র প্রধান অং সান সুচির একজন বিশেষ দূত। চলতি মাসেই তার বাংলাদেশ সফরের কথা জানিয়েছে নাইপিদো।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আওতায় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে বাংলাদেশ। তারই প্রক্রিয়া হিসেবে হতে যাচ্ছে বিশেষ দূতের এ সফর।
কয়েকদিন আগে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, রাখাইন রাজ্যে দমন-নিপীড়নের জেরে প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এর আগ থেকেই অবৈধভাবে এদেশে অবস্থান করছে প্রায় ৩ লাখ রোহিঙ্গা।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৭
জেপি/এইচএ/