শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান এ তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদ মো. আবু সরোয়ার এবং ক সার্কেলের এএসপি নাইমুর রহমান।
অভিযোগ ওঠে, পুলিশ থানায় নিয়ে সাঈদকে হাতকড়া পরিয়ে দুই টেবিলের মাঝখানে উল্টো করে ঝুলিয়ে মারধর করে। একইসঙ্গে তার পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে। ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে পরদিন তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অবশ্য আবু সাঈদ, তার স্ত্রী এবং মা সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, ‘বুধবার (০৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার তালবাড়িয়া কলেজপাড়া থেকে সাঈদকে আটক করেন কোতোয়ালি মডেল থানার সিভিল টিমের সদস্য এসআই নাজমুল ও এএসআই হাদিকুর রহমান। পরদিন বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে তাকে ছেড়ে দেন। এ সময় তার কাছে পুলিশ কিছুই জানতে চায়নি। তাকে কোনো টর্চারও করা হয়নি’।
মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিটি তার নয় বলেও দাবি করেন সাঈদ।
তবে, একাধিক সূত্র বলছে, ‘শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) সকালে একাধিক পুলিশ সদস্য সাঈদদের বাড়িতে যান। এজন্য ভয়ে তারা এখন সত্য কথা বলছেন না’।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশের পক্ষ থেকে তালবাড়িয়ার আবু সাঈদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এ ঘটনা তদন্তের জন্য দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা এ ছবি সম্বলিত সংবাদ প্রকাশ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি-সম্পাদকের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন পুলিশ সুপার’।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৭
এজি/এএসআর