চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, শিল্পসচিব, গাইবান্ধার পুলিশ সুপার, গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) বিবাদী পক্ষকে চার সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তিনি (৭ ডিসেম্বর) রংপুর সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল আউয়ালকে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে একটি নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়, ৬ নভেম্বর সাঁওতালদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে, সাঁওতালদের হত্যা করে তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে পত্রপত্রিকায় এসেছে। কিন্তু ৮ তারিখ থেকে আপনি (চিনিকলের এমডি) উচ্ছেদকৃত এলাকায় ট্রাক্টর চালিয়ে ঘটনার আলামত নষ্ট করেছেন। সরকারি কর্মচারী হিসেবে আলামত সংরক্ষণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করা আপনার দায়িত্ব। কিন্তু আপনি এবং অন্য কর্মকর্তারা ক্রাইম সিন এলাকা থেকে আলামত অদৃশ্য করে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। এটা দণ্ডবিধি ২০১ ধারায় ফৌজদারি অপরাধ।
নোটিশে আরও বলা হয়, সাক্ষ্য (আলামত) ছাড়া ওই ঘটনায় নিহত শ্যামল হেমব্রম ও মঙ্গল মার্ডি হত্যায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা কষ্টসাধ্য হবে।
এরপর আইনজীবী সুপ্রকাশ দত্ত রিট করেন। রোববার রিট আবেদনের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
পরে সুপ্রকাশ দত্ত সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর সংঘর্ষের ঘটনার পর আলামত নষ্ট করায় রংপুর সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ২০১ ধারা অনুসারে ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং ইচ্ছাকৃতভাবে আলামত নষ্ট করার অভিযোগে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে কেন ফৌজদারি মামলা করতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া কেন উচ্ছেদকৃত এলাকায় ট্রাক্টর চালানো হয়েছে, তা জানিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ব্যাখ্যা আকারে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের শ্রমিক-কর্মচারীরা পুলিশ নিয়ে আখ কাটতে যায়। পরে তাদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে তিন সাঁওতাল নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে সাঁওতালদের ছোড়া তীরবিদ্ধ নয় পুলিশ সদস্য রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৭
ইএস/এসআই