রোববার (০৮ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীনের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা।
এর আগে স্মারকলিপি দিতে লাক্কাতুরা বাজার থেকে প্রায় শতাধিক চা শ্রমিক বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ফেস্টুন ও লাল পতাকা মিছিল বের করেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল এই চা। কিন্তু চা শ্রমিকরা সীমাহীন দারিদ্র্য ও পুষ্টিহীনতায় নিপীড়িত। চা শ্রমিকদের জীবনের সামান্যতম পরিবর্তন হয়নি আজও। শিক্ষা চিকিৎসাসহ সকল মৌলিক ও মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত চা শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রমের পরও এই বাজারে চা শ্রমিকের জীবনের সকল চাহিদার বিপরীতে মজুরি মাত্র ৮৫ টাকা। অথচ প্রতি বছর চায়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বদলাচ্ছেনা শ্রমিকদের জীবন কাহিনী।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার আগে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হৃদেশ মুদির সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমরেড উজ্জ্বল রায়, বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার সদস্য হুমায়ূন রশীদ সোয়েব অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সিলেট জেলার সভাপতি সুশান্ত সিনহা, সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের মালনীছড়া বাগানের আহ্বায়ক সন্তোষ বাড়াইক, সাধারণ সম্পাদক অজিত রায়, লাক্কাতুরা বাগানের আহ্বায়ক লাংকাট লোহার, সদস্য আমেনা বেগম, হিলুয়াছড়া বাগানের সদস্য মনা গুঞ্জু, লালাখাল চা বাগানের সভাপতি এবং ইউ.পি সদস্য রাজেন্দ্র বাড়াইক (মলিন), তারাপুর বাগানের সদস্য আলম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৬
এনইউ/বিএস