ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লাইফ স্কুলে অভিভাবকদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করা হতো

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৭
লাইফ স্কুলে অভিভাবকদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করা হতো র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: যেসব অভিভাবককে নিজেদের আয়ত্তে আনতে পারবে, তাদের সন্তানদেরই কেবল উত্তরার লাইফ স্কুলে ভর্তি নেওয়া হতো। এজন্য শিক্ষার্থীদের ভর্তির আগে তাদের বাবা-মায়ের ইন্টারভিউ নেওয়া হতো বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি-অপারেশন্স) কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান।

সোমবার (০৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে, রাজধানীর কলাবাগান ও উত্তরা থেকে জেএমবির সারওয়ার-তামিম গ্রুপের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে আটক করে র‌্যাব-৪ এর একটি দল।

এদের মধ্যে উত্তরার ইংরেজি মাধ্যম লাইফ স্কুলের অধ্যক্ষসহ তিনজন রয়েছেন।

রোববার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে র‌্যাব। আটকরা হলেন উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের লাইফ স্কুলের সাবেক অধ্যাপক্ষ শরিফুল ইসলাম (৪৬), তার ভাগ্নে ও স্কুলের সাবেক পরিচালক জিয়াউর রহামন (৩১), বর্তমান অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান (৪৩), আবু সাদাত সুলতান আল রাজি ওরফে লিটন (৪১), আল মিজানুর রশিদ (৪১), নারী সদস্য জান্নাতুল মহল ওরফে জিন্নাহ (৬০), কৌশিক আদনান সোবহান (৩৭), মেরাজ আলী (৩০), মুফতি আবদুর রহমান বিন আতাউল্লাহ (৩৭) ও শাহরিয়ার ওয়াজেদ খান (৩৬)।

কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান বলেন, লাইফ স্কুলের একটি নামাজ ঘর ছিলো। সেটি পরবর্তীতে মসজিদে রূপান্তর করা হয়। স্কুলটিতে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় তারা বাবা-মায়ের ইন্টারভিউ নিতো। যাতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নিজেদের আয়ত্তে রাখতে পারে। স্কুলের ওই মসজিদে বসে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করার কাজ করতো তারা।

তবে এ পর্যন্ত র‌্যাবের কাছে লাইফ স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধকরণের কোনো অভিযোগ আসেনি বলেও জান‍ান ওই র‌্যাব কর্মকর্তা।

তিনি আরও বলেন, আটক ১০ জনের বিরুদ্ধে সরাসরি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে সারোয়ার-তামিম গ্রুপের নিহত সদস্যদের উদ্বুদ্ধকরণের কাজ করেছেন তারা।

আটকদের মধ্যে উদ্বুদ্ধকরণের কাজের সঙ্গে শরীফ, শাহরিয়ার ও মিজানের সবচেয়ে বেশি জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৭

এসজেএ/এএটি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।