বুধবার ( জানুয়ারি ১১) দুপুরে নগরভবনে গুলিস্তান ও আশপাশের এলাকা হকারমুক্ত করতে হকার নেতা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানান তিনি।
তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে হকাররা গুলিস্তান ও আশপাশের এলাকায় বসতে পারবেন।
এছাড়া তালিকাভুক্ত হকাররা যদি আবেদন করে তাহলে তাদের বিদেশ পাঠানোসহ বিকল্প কর্মসংস্থানে সহযোগিতা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, সাপ্তাহিক কর্মদিবসে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার আগে আমরা কাউকেই ফুটপাত ও সড়কে বসতে দিব না। সড়কে যানবাহন ও পথচারী চলাচলে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, হকারমুক্ত কর্মসূচির আওতায় গুলিস্তান, মতিঝিল, পল্টন, জিরোপয়েন্ট, বায়তুল মোকাররম এলাকার ফুটপাত ও সড়ক থাকবে। আগামী রোববার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। এ ব্যাপারে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করবেন। এ কাজে ঢাকা মহানগর পুলিশ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
মেয়র বলেন, কেউ বিদেশ যেতে চাইলে সিটি করপোরেশনে আবেদনের ভিত্তিতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে সহায়তা পেতে সহযোগিতা করবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এছাড়া যেখানেই সুযোগ হবে তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
হকার নেতৃবৃন্দের অভিযোগের ভিত্তিতে মেয়র বলেন, লাইনম্যান নামে যারা টাকা তোলেন তারা আসলে চাঁদাবাজ। এই চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা হবে। আমাদের কাছে তালিকা আছে তালিকা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে ডিএমপি।
মতবিনিময় সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, স্বরাষ্ট্র যুগ্মসচিব আবদুল ওয়াহাব ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) মফিজ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ হকার ফেডারেশনের সভাপতি এমএ কাশেম, বাংলাদেশ ছিন্নমূল হকার লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন মজুমদার, জাতীয় হকার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরিফ চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় হকার্স লীগের সভাপতি নূরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬/আপডেট: ১৪৪৩ ঘণ্টা
এসএম/আরআই/এমজেএফ