মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা পৌঁছে দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিয়াও তিনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি। বুধবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে তিন দিনের সফরের কর্মসূচি শুরু করেন তিনি।
এদিন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গেও সৈজন্য সাক্ষাৎ করেন মায়ানমারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিয়াও তিন।
এদিকে কয়েক ঘণ্টার বৈঠক শেষেও কোনো পক্ষ থেকেই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা হয়নি। অতিথি ভবন পদ্মার বাইরে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কারো দেখা পাননি সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) এ বিষয়ে জানানো হবে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক। বৈঠক থেকে বের হওয়ার পথে পররাষ্ট্র মন্ত্রী একই কথা জানান সাংবাদিকেদর।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, বাংলাদেশের মতো মায়ানমারও রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান চায় বলে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ সমস্যা সমাধানে মায়ানমারকে সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস পূর্ণব্যক্ত করা হয়।
রাখাইনে সাম্প্রতিক সেনা অভিযানের ঘটনায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার পাশাপাশি সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনতেও মায়ানমারের প্রতি আহ্বান জানায় বাংলাদেশ। এছাড়া নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গা যেন বাংলাদেশে না আসে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
তবে মায়ানমারের পক্ষ থেকে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।
নতুন করে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে এদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়েও মায়ানমারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাংলাদেশ। নাগরিকত্ব যাচাইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের নাগরিকদের ফেরত নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে মায়ানমার।
তবে কবে, কিভাবে এ প্রক্রিয়া শুরু হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে ধারণা দেয়নি মায়ানমার। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা পৌঁছেন মায়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি’র বিশেষ দূত ও দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিয়াও তিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৭/আপডেট: ২০৩৭ ঘণ্টা
জেপি/জেডএস