শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে এ মেলা।
আগৈলঝাড়া ছাড়াও বরিশালের উজিরপুর, গৌরনদী, বানারীপাড়া, বাকেরগঞ্জ, পার্শ্ববর্তী জেলা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া এবং মাদারীপুরের ডাসার,কালকিনি উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার নানা বয়সী হাজার-হাজার মানুষ এ মেলায় অংশ নেন।
মেলা কমিটির সভাপতি দ্বিগবিজয় বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, ২৩৭ বছর আগে রামানন্দের আঁক গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মাত্র ছয় বছর বয়সে সোনাই চাঁদ আউলিয়া নামে একটি শিশুর বিয়ে হয়। সাত বছর বয়সে স্বামী হারান তিনি। এ অবস্থায় শ্বশুরবাড়িতে একটি নিমগাছের গোড়ায় শিবের আরাধনা করতে শুরু করেন তিনি। পরে তার অলৌকিক ক্ষমতা অর্জনের কথা ছড়িয়ে পরলে ওই স্থানে প্রতিবছর পূজার আয়োজন করা হয়।
স্থানীয় হরেন বিশ্বাস (৮৪) বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষরা মার্বেল খেলার মাধ্যমে মেলার প্রচলন করেছিলেন। যা আজও অব্যাহত আছে। তাদের উত্তরসূরি হিসেবে আমরা সেই প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রাখার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। এদিনটিকে ঘিরে রামানন্দের আঁক গ্রামে মহোৎসবের আমেজ বিরাজ করে। মেলায় মার্বেল খেলার জন্য অনেক দূর-দূরান্ত থেকে যারা এসেছেন তাদের জন্য আগে থেকেই ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
সরকার এই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন ও মাঠ সম্প্রসারণ করলে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এই মার্বেল মেলা আরো জনপ্রিয় হবে বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৭
এমএস/আরবি/এসআই