ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হবিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী মাছ মেলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৭
হবিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী মাছ মেলা হবিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী মাছ মেলা-ছবি: বাংলানিউজ

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামে প্রতিবছরের মতো এবারও ঐতিহ্যবাহী মাছ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই সিলেট, মৌলভীবাজর, সুনামগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জেলা থেকে হাজারো মানুষের ঢল নামে মাছ মেলায়।

স্থানীয়দের ধারণা, একদিনের জন্য মেলা বসলেও লোক সমাগম বেশি হওয়ায় মেলা শেষ হতে রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর গড়িয়ে যাবে।

প্রতিবছর পৌষ সংক্রান্তিতে আয়োজিত এ মেলাটি প্রায় শতাধিক বছর ধরে চলে আসছে।


 
সকালেই মেলায় বোয়াল, আইড়, বাঘাইড়, চিতল, গজার, রুই, কাতল, পুঁটি, চিংড়ি, কৈ, চাপিলা, চান্দাসহ নানা প্রজাতির মাছ নিয়ে আসেন বিক্রেতারা।

মেলার প্রধান আকর্ষণ মাছ হলেও এতে বিভিন্ন কৃষি উপকরণ, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, আখ, শিশুদের খেলনাও ছিল।

পইলসহ আশপাশের গ্রামগুলোর মানুষ এ মেলাটিকে তাদের পূর্ব পুরুষের ঐতিহ্য বলেই মনে করেন।

মেলা ঘুরে দেখা যায়, কয়েকশ’ বিক্রেতা অংশ নিয়েছেন পইল মাছের মেলায়। বড় বড় মাছের সঙ্গে অনেকে দেশি নানা প্রজাতির ছোট মাছও নিয়ে এসেছেন। বেচাকেনাও চলছে ধুমছে। প্রতিটি দোকানের সামনে মানুষের জটলা। কেউ মাছের দাম হাকাচ্ছেন, কেউ কিনছেন, কেউ আবার মাছ দেখতেই ভীড় করেছেন দোকানের সামনে।

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদ নগর গ্রামের শুকুর মিয়ার মাছের দোকানে গিয়ে দেখা যায় প্রচুর ভিড়। মেলায় সব চেয়ে বড় মাছটি তুলেছেন তিনি, ১০ কেজি ওজনের বাঘাইড়। মাছটির দাম চাওয়া হয়েছে ১৮ হাজার টাকা। সবার দৃষ্টি এই মাছটির ওপর। তবে নয়-১০ হাজার টাকার বেশি দিতে চাচ্ছেন না ক্রেতারা।

মাছ বিক্রেতা শুকুর মিয়া বাংলানিউজকে জানান, বিভিন্ন নদী ও হাওর থেকে মাছ আসে এখানে। এ মেলাকে ঘিরে চলে মাছ ধরারও উৎসব।

তিনি আরও বলেন, আমি প্রতিবছর এ মেলায় মাছ নিয়ে আসি। বাজারের তুলনায় মেলায় মাছের দাম বেশি পাওয়া যায়।

মেলায় ঘুরতে আসা আফসার মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, শুধু মাছ কেনাটাই বড় কথা নয়। বাপ-দাদার মুখে বড় বড় মাছের গল্প শুনলেও দেখিনি। তাই এখানে এসে বড় বড় মাছ দেখে চোখ জুড়াই।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৭
আরবি/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।