ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সোনারগাঁয়ে লোকজ উৎসবের প্রথম দিনে মানুষের ঢল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৭
সোনারগাঁয়ে লোকজ উৎসবের প্রথম দিনে মানুষের ঢল লোকজ উৎসবে দর্শনার্থীরা/ছবি: বাংলানিউজ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ জাদুঘর আয়োজিত মাসব্যাপী লোকজ উৎসবের প্রথম দিনে মানুষের ঢল নেমেছে।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে মেলার ঘুরতে আসার দৃশ্য দেখা গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই মেলার বিভিন্ন স্টল থেকে কেনাকাটা করেছেন।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোকজ ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন চত্বরে আয়োজিত মাসব্যাপী লোক-কারুশিল্প মেলা এবং লোকজ উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

লোকজ উৎসব প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

এদিকে সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। মেলার দর্শনার্থী ও সাধারণ মানুষ এ অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের পল্লি অঞ্চল থেকে ৫৪ জন কারুশিল্পী মেলায় অংশ নিচ্ছেন। তাদের জন্য ২৭টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নওগাঁ ও মাগুরার শোলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাড়ি ও মুখোশ, চট্টগ্রামের তালপাতার হাতপাখা, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁওয়ের হাতি ঘোড়া পুতুল ও কাঠের কারুশিল্প, নকশিকাঁথা, বেতের কারুশিল্প, মুন্সিগঞ্জের শীতল পাটি, ঠাকুরগাঁয়ের বাঁশের কারুশিল্প, কুমিল্লার তামা-কাঁসা পিতলের কারুশিল্প, রাঙামাটি ও সিলেটের ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর কারু পণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরা কোটা শিল্পসহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার মৃৎশিল্প বিভাগের মাটির কারুশিল্প এ মেলায় স্থান পেয়েছে।

এছাড়াও মেলায় গ্রামীণ লোকজ সংস্কৃতির অন্যতম মাধ্যম ‘মৃৎশিল্পের প্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন’ শিরোনামে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।

 ঢাকা ও রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জন শিল্পী এ প্রদর্শনীতে অংশ নেবেন।

মেলায় কর্মরত কারুশিল্পীর কারু পণ্য উৎপাদন প্রদর্শনীর ২৭টি স্টলসহ সর্বমোট ১৯৩টি স্টল থাকবে। এদের মধ্যে হস্তশিল্প ৪৬টি, পোশাক ৪৩টি, স্টেশনারি ও কসমেটিকসের দোকান ৩৫টি, খাবার ও চটপটির স্টল-২৫টি, মিস্টির স্টল-১৭টি।

এছাড়াও লোক-কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে লোকজ নাটক, লোক কাহিনীর যাত্রাপালা, বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালী গান, জারি-সারি ও হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজ ভান্ডারী গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গায়ে হলুদের গান, বান্দরবান, বিরিশিরি, কমলগঞ্জের-মণিপুরী ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তী-মারফতি গান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, দোক খেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, লোকজ জীবন প্রদর্শনী, লোকজ গল্প বলা, পিঠা প্রদর্শনী ইত্যাদি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

** সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘরে নতুন ভবন তৈরি হবে

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৭
আরআইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।