ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলানিউজের সংবাদে হাসি ফুটলো সুমার মুখে

ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৭
বাংলানিউজের সংবাদে হাসি ফুটলো সুমার মুখে সহায়তা পেলো সুমা ও তার পরিবার/ ছবি- মানজারুল ইসলাম

খুলনা: বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশের পর দরিদ্র মেধাবী ছাত্রী সুমা খাতুন পেলো শিক্ষা উপকরণ বাবদ নগদ ৫ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা। পাশাপাশি তার মা খাদিজা বেগম পেলেন একটি সেলাই মেশিন। সহায়তা পেয়ে হতাশাগ্রস্ত সুমার মুখে আনন্দের হাসি ফুটেছে।  

তাদের এ সহযোগিতা করেছেন চট্টগ্রামের জার্মান ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র ডী স্প্রাখের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক।  

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলানিউজের খুলনা ব্যুরো কার্যালয়ের মাধ্যমে জেলার রূপসা উপজেলার বাগমারা চর রূপসার শাজাহান হাজির বস্তিতে সুমাকে ৫ হাজার টাকা এবং তার মাকে সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাগমারা দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান, শিক্ষক শাহনেওয়াজ মিলন, স্থানীয় বাসিন্দা সোহেব হোসেন, সাংবাদিক রোটারিয়ান মোসলেহ উদ্দীন তুহিন, নৈহাটী ইউনিয়নের সংরক্ষিক মহিলা কাউন্সিলর (১,২,৩ নং ওয়ার্ড) রীনা পারভিন।

বাগমারা দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সুমার জীবনে শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে রাখতে বাংলানিউজ ও ওই শিক্ষক যা করলেন তা অনন্য দৃষ্টান্ত। তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সমাজের বিত্তবানরা যদি এভাবে এগিয়ে আসেন তাহলে দরিদ্র ছেলে-মেয়েরা শিক্ষার আলো থেকে আর বঞ্চিত হবে না। তারাও শিক্ষিত হয়ে সমাজে মানুষের মতো মানুষ হতে পারবে। সহায়তা পেলো সুমা ও তার পরিবার
  
এদিকে আর্থিক সহযোগিতা ও সেলাই মেশিন পাওয়ার পর সুমা ও তার মা খাদিজা বেগম আবেগাপ্লুত হয়ে তাদের এ সহযোগিতায় বাংলানিউজ ও সহায়তাকারীকে ধন্যবাদ জানান।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) ‘গোল্ডেন ‘এ প্লাস’ পেয়েও শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত সুমার!’ শিরোনামে বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশ হয়।

যাতে উল্লেখ থাকে-২০১৬ সালে খুলনার রূপসা উপজেলার বাগমারা দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে গোল্ডেন এ প্লাস পায় সুমা খাতুন। বর্তমানে সে শামসুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। স্কুল থেকে বিনামূল্যে বই পেলেও খাতা, কলম, পোশাক, ব্যাগ কিনে দিতে পারছেন না তার দিনমজুর মা খাদিজা বেগম। যে কারণে নতুন শ্রেণিতে স্কুলে যেতে পারছে না সুমা।  

সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী মায়ের সবদিন কাজ থাকে না। যেদিন কাজ হয় তা দিয়ে সংসারের খরচ চালাতে হিমশিম খান তিনি। সুমার তিন বছর বয়সে তার বাবা তাদের ফেলে রেখে চলে যান। সেই থেকে তার আর কোনো খোঁজ নেই। সুমার মতো লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে তার ছোটবোন তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রুমা খাতুনেরও।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৬
এমআরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।