বিশ্বমানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে এর উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে সরকার। দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি, বিদেশি পর্যটকের কাছে আকর্ষণীয় করতে কুয়াকাটাকে প্রস্তুত করা হবে, যোগ করেন মন্ত্রী।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে পটুয়াখালী জেলার কলাপড়া উপজেলার কুয়াকাটায় মেগাবিচ কার্নিভাল-২০১৭ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ১৯৭০ এর নির্বাচনের আগে বিশেষ লঞ্চ নিয়ে তিনি বৃহত্তর বরিশালের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখেছেন। তখন তিনি এসব অঞ্চলের সম্ভাবনাময় দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করতেন। ১৯৯৮ সালে কুয়াকাটাকে আধুনিক পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত করার কাজ শুরু করেন তিনি। সে লক্ষ্যে ওই সময় তিনি পর্যটন হলিডে হোমস’র দ্বিতল ভবনের উদ্বোধন করেন।
যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখনই দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন হয়। বরিশালে শিক্ষাবোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে পদ্মাসেতু, পায়রা বন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা বিশাল সমুদ্রসীমা জয় করেছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের দেশ ধনী দেশে পরিণত হবে- এতে কোনো সন্দেহ নেই বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
তিনি এসময় আরো বলেন, এই অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পায়রা বন্দরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কুয়াকাটার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এরই মধ্যে তিনটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। লেবুখালি ও পদ্মাব্রিজের কাজও দ্রুতগতিতে চলছে। গোটা দক্ষিণাঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করারও আহ্বান জানান তিনি।
তিনদিনের বিচ কার্নিভাল কুয়াকাটা-২০১৭’র সমাপনী অনুষ্ঠানে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক একেএম শামীমুল হক সিদ্দিকী সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- মাহবুবুর রহমান এমপি, একেএমএ আউয়াল এমপি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার সরকার, পর্যটন কর্পোরেশনের অতিরিক্ত সচিব অপরূপ চৌধুরী, পটুয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান মোশাররফ হোসেন, পুলিশ সুপার সৈয়দ মোসফিকুর রহমান, কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার প্রমুখ।
এর আগে সকালে বিচ ক্লিনিং কর্মসূচিতে অংশ নেয় স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তিন দিনব্যাপী এ কার্নিভালের প্রতিদিন সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
কুয়াকাটাকে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করতে ১৪ জানুয়ারি শুরু হওয়া মেগাবিচ কার্নিভাল কুয়াকাটা-২০১৭ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘন্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৭
এমএস/এসএএস/এসআই