মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে গুলশান-২ এর ৯০ নম্বর সড়কের ইউনিমার্ট ভবনে ডিএনসিসি’র মার্কেট ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ঝুকিপূর্ণ ভবন সম্পর্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
আনিসুল হত বলেন, সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ৭টি জায়গায় এ মার্কেটগুলো রয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে রাউজের ঘোষণা অনুযায়ী ৩২১টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। এ মধ্যে ১৪১টি ভবন উত্তর সিটি করপোরেশনে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলো চিহ্নিত করেন বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ার ও ভবনগুলো চিহ্নিত করেন রাজউক ও উত্তর সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।
মেয়র বলেন, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে- গুলশান-২ এর কাচা-পাকা মার্কেট, খিলগাঁওয়ের কাঁচা মার্কেট, খিলগাঁও সুপার মার্কেট, কারওয়ানবাজার কাঁচা ও চিকেন মার্কেট, মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটসহ এরকম ১২টি মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু এ ঝুঁকির বিষয়টি মার্কেট কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হয়েছে। কিন্তু মার্কেটের ব্যবসায়ীরা এর কোনো তোয়াক্কা করছেন না।
মার্কেটগুলো থেকে কেন ব্যবসায়ীদের সরানো হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমরা এ মুহুর্তে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না ব্যবসায়ীদের কারণে। আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে আলোচনা করছি।
সংবাদ সম্মেলন প্রজেক্টরের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট ও ভবনের ছবি দেখানো হয়।
মেয়র আসিনুল হকসহ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, জানুয়রি ১৭, ২০১৭
আরটি/বিএস