ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ময়লা-আর্বজনার ভাগাড় এখন নবগঙ্গা!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
ময়লা-আর্বজনার ভাগাড় এখন নবগঙ্গা! বাসা-বাড়ি ও হোটেল-রেস্তোরাঁর ময়লা-আবর্জনা, মাছ বাজার ও কসাইপট্টির বর্জ্য দূষণ করছে নবগঙ্গা। ছবি: বাংলানিউজ

মাগুরা: বাসা-বাড়ি ও হোটেল-রেস্তোরাঁর ময়লা-আবর্জনা, এমনকি মাছ বাজার ও কসাইপট্টির সকল বর্জ্য ফেলা হচ্ছে মাগুরা শহরের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত নবগঙ্গা নদীতে। শহরের অধিকাংশ স্যুয়ারেজ লাইন ও ড্রেনের মুখ সংযুক্ত হওয়ায় দূষিত পানিও গিয়ে পড়ছে নদীটিতে।

ফলে ময়লা-আর্বজনার ভাগাড়ে পরিণত হয়ে নাব্যতা সংকটে পড়েছে নবগঙ্গা। পানি দূষিত হয়ে ছড়াচ্ছে রোগ-বালাইও।

 

বিভিন্ন মহল নদীকে দূষণমুক্ত করার দাবিতে আন্দোলন করে এলেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কোনো ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে না বলে অভিযোগ করছেন শহরবাসী।

দড়ি মাগুরা এলাকার বাসিন্দা বিকাশ সাহা বাংলানিউজকে বলেন, মাগুরা শহরে কোথাও ময়লা ফেলার স্থান নেই। যে কারণে বাসা-বাড়ির সকল ময়লা-আর্বজনা নবগঙ্গা নদীতে ফেলছেন মানুষ।

সুপ্রভাতের সহ সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রূপক আইচ বলেন, শুধু ময়লা-আর্বজনাই নয়, শহরের সকল পয়ঃনিস্কাশন ও ড্রেনের পানিও ফেলা হচ্ছে নবগঙ্গা নদীতে। যা পচে দুর্গন্ধ সৃষ্টির পাশাপাশি নদীর পানিও দূষিত হচ্ছে। ফলে ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে নদীটির পানি, সৃষ্টি করছে নানা রোগ-বালাইয়ের।

তিনি আরো বলেন, বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে কুষ্টিয়া থেকে তামাকজাত ও সিগারেট কোস্পানির বর্জ্যও নবগঙ্গায় ফেলা হচ্ছে। এটিও বন্ধ করা জরুরি।

নবগঙ্গা নদীকে জেলাবাসীর প্রাণ উল্লেখ করে তা দূষণমুক্ত করে নাব্যতা ফেরাতে ‘জাগো মাগুরা’, ‘কাণ্ডারি’সহ  স্থানীয় একাধিক সংগঠন সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে।

মাগুরা পৌরসভার মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল বলেন, মানুষের সচেতনতা ছাড়া নবগঙ্গা নদী দূষণমুক্ত করা সম্ভব নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।