ফলে ময়লা-আর্বজনার ভাগাড়ে পরিণত হয়ে নাব্যতা সংকটে পড়েছে নবগঙ্গা। পানি দূষিত হয়ে ছড়াচ্ছে রোগ-বালাইও।
বিভিন্ন মহল নদীকে দূষণমুক্ত করার দাবিতে আন্দোলন করে এলেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কোনো ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে না বলে অভিযোগ করছেন শহরবাসী।
দড়ি মাগুরা এলাকার বাসিন্দা বিকাশ সাহা বাংলানিউজকে বলেন, মাগুরা শহরে কোথাও ময়লা ফেলার স্থান নেই। যে কারণে বাসা-বাড়ির সকল ময়লা-আর্বজনা নবগঙ্গা নদীতে ফেলছেন মানুষ।
সুপ্রভাতের সহ সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রূপক আইচ বলেন, শুধু ময়লা-আর্বজনাই নয়, শহরের সকল পয়ঃনিস্কাশন ও ড্রেনের পানিও ফেলা হচ্ছে নবগঙ্গা নদীতে। যা পচে দুর্গন্ধ সৃষ্টির পাশাপাশি নদীর পানিও দূষিত হচ্ছে। ফলে ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে নদীটির পানি, সৃষ্টি করছে নানা রোগ-বালাইয়ের।
তিনি আরো বলেন, বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে কুষ্টিয়া থেকে তামাকজাত ও সিগারেট কোস্পানির বর্জ্যও নবগঙ্গায় ফেলা হচ্ছে। এটিও বন্ধ করা জরুরি।
নবগঙ্গা নদীকে জেলাবাসীর প্রাণ উল্লেখ করে তা দূষণমুক্ত করে নাব্যতা ফেরাতে ‘জাগো মাগুরা’, ‘কাণ্ডারি’সহ স্থানীয় একাধিক সংগঠন সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে।
মাগুরা পৌরসভার মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল বলেন, মানুষের সচেতনতা ছাড়া নবগঙ্গা নদী দূষণমুক্ত করা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এএসআর