সংসদ ভবন থেকে: শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি জানিয়েছেন জাসদ একাংশের কার্যকরী সভাপতি ও সংসদ সদস্য মঈনুদ্দিন খান বাদল।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে সংসদ অধিবেশন পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ স্পিকার থাকাকালীন ২০১২ সালে ৩১ জানুয়ারি সংসদে বলেছিলেন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময় ৩০-এর পরিবর্তে ৩৫ করা উচিত।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, আমাদের গড় আয়ু যখন ৪৫ ছিল, তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ছিল ২৭ বছর।
যখন গড় ৫০ ছড়ালো তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়স হলো ৩০ বছর। বর্তমানে গড় আয়ু ৭২ বছর, কিন্তু চাকরিতে প্রবেশের বয়স সেই ৩০ রয়ে গেছে। তবে অন্যান্য প্যারামিটারগুলো কিন্তু আমরাই বাড়িয়ে ফেলেছি। উদাহরণ টেনে বলেন, প্রাথমিকে ছেলে-মেয়েদের প্রবেশের বয়স করেছি ৬ বছর, স্নাতক এবং সম্মান এ -এক বছর করে বাড়িয়ে দিয়েছি। সেই কারণে ২৩ বছরে লেখোপড়া শেষ হয়ে যাওয়ার কথা বললেও কিন্তু বস্তুত ২৭-২৮ বছরে আগে তা শেষ হচ্ছে না। এসময় সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদের কথা তুলে ধরে বলেন, সংবিধানেই উল্লেখ আছে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য না রেখে সমতা নির্ধারণ করতে হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা উদাহরণ দিয়ে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৪৫ বছর, শ্রীলঙ্কায় ৪৫ বছর, ইন্দোনেশিয়া ৩৫ বছর, ইতালিতে ৩৫ বছর, ফ্রান্সে ৪০ বছর। সুতরাং রাষ্ট্রপতির বক্তব্যকে সম্মুখভাবে উপলবদ্ধি করে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ থেকে ৩৫ করার যায় কি না বিবেচনার আবেদন রাখছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এসএম/এসএইচ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।