বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। আনিসুর সাটুরিয়া উপজেলার দক্ষিণ কামতা এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
আনিসুরের বড় ভাই নাছির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, প্রতিবেশি আব্দুস সোবহানের মেয়ে সোনিয়াকে ভালোবেসে বিয়ে করেন আনিসুর। কিন্তু তার ওই সংসার দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
এ বিষয়কে কেন্দ্র করে গত ২৯ অক্টোবর সোনিয়ার বাবা আব্দুস সোবহান বেশ কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে গোলড়া বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে আনিসুরকে মারধর করেন।
স্থানীয়রা আনিসুরকে উদ্ধার করে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে প্রথমে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও পরে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করলেও ওই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি সাটুরিয়া থানা পুলিশ। পরে এ ব্যাপারে আদালতে আরেকটি অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান নাছির।
নাছির অভিযোগ করেন, স্থানীয় মেম্বার মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সোনিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মনোয়ার মেম্বারও জড়িত রয়েছেন।
তবে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন মেম্বার মনোয়ার হোসেন।
সাটুরিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্বাস আলী বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় আনিসুরের শ্বশুর আব্দুস সোবহানসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করে থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করেন নাছির। পরে এ বিষয়ে তদন্তও হয়। কিন্তু নাছির পরবর্তীতে যোগাযোগ না করায় লিখিত অভিযোগটি চূড়ান্তভাবে এন্ট্রি করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
আরআর