শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ৮ম ধাপের খনন কাজের উদ্বোধন করা হয়।
২০১০ সালে এ অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান, খনন ও গবেষণার উদ্যোগ হাতে নেয় অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন।
গবেষণা কাজের তত্ত্বাবধায়ক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনায় থাকা অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনকে এক কোটি টাকা অর্থায়ন দিয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের হুনান প্রাদেশিক প্রত্নতত্ত্ব ও সাংস্কৃতিক বস্তু ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা পর্যায়ক্রমে এই খনন কাজে অংশগ্রহণ করবে। দৈনিক ১২০ জন শ্রমিক দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কর্মরত থাকবে। খনন কাজের জন্য যন্ত্রপাতিসমূহ চায়না থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে বৌদ্ধ মন্দির, অষ্টকোণাকৃতি স্তূপ, ৪টি অন্যান্য স্তূপ হলঘর, ইট নির্মিত রাস্তা, কক্ষ, দেয়াল, মেঝে, ইট নির্মিত নালা, অসাধারণ প্রবেশদ্বার ইত্যাদি। খনন কাজের উপযুক্ত সময় চলতি মৌসুমে তিনমাস ধরে এই কাজ চলবে। হুনানা প্রাদেশিক প্রত্নতত্ত্ব ও সাংস্কৃতিক বস্তু ইনস্টিটিউট ২০১৫ সাল থেকে যৌথ গবেষণায় কাজ করছে।
অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. নূহ-উল-আলম লেলিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সফিক আহমেদ সিদ্দিক।
এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন, মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আলতাফ হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, ১৭ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ