বাজারের সঙ্গে দামের তেমন পার্থক্য না থাকায় ভোক্তারা ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকেই স্বাচ্ছন্দ্যে সবজি কেনেন। একেকজন দোকানির প্রতিমাসে আয় হয় প্রায় ২৫ হাজার টাকা।
অন্য ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা নিজস্ব ভ্যানে করে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে শাক-সবজি কিনে শহরের তোলেন। এতে তাদের পরিবহন খরচ বেঁচে যায়। এছাড়াও বিক্রি করতে বাজারের দোকান ভাড়া গুনতে হয় না। বেশির ভাগ ব্যবসায়ী কৃষকদের কাছ থেকে বাকিতে সংগ্রহ করেন সবজি। বিক্রি করে টাকা দেন।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পিয়ারাপুর, ভবানীগঞ্জ, মিয়ারবেড়ি ও তোরাবগঞ্জ এলাকার কৃষকদের ক্ষেত থেকে সবজি সংগ্রহ করে শহরে আনেন। জেলা শহরের অলিগলি ও আবাসিক এলাকার বাসা-বাড়িতে নিয়ে বিক্রি করেন। যে কারণে সব বিক্রি হয়ে যায়, পুরনো শাক-সবজি থাকে না।
মিয়ারবেড়ি এলাকার কৃষক আবুল কাশেম জানান, ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের কাছ সবজি বিক্রি করলে চাষি ও ব্যবসায়ী দু’জনেরই লাভ। পরিবহন খরচ লাগে না।
লক্ষ্মীপুর পৌর সমসেরাবাদ এলাকার একজন গৃহিণীর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, বাসার সামনে প্রতিদিন সবজির ভ্যান আসে। অল্প-অল্প করে প্রতিদিনই টাটকা সবজি কিনি। বাজারে যেতে হয় না।
সরকারি চাকরিজীবী জসিম উদ্দিন বলেন, অফিস করে বাজারে যাওয়া সম্ভব হয় না। চলার পথে রিকশায় বসে সবজি কেনা যায়।
ভ্রাম্যমাণ সবজি ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন জানান, সবজি বিক্রি করে তার সংসার চলে। ছেলে-মেয়ের পড়া-লেখার খরচ জোগান। প্রতিদিন ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা বিক্রি হয়। মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাভ থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭
এএ