ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গভীর রাতেও চলছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭
গভীর রাতেও চলছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ গভীর রাতেও চলছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। ছবি: কাশেম হারুন

ঢাকা: গভীর রাতেও চলছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দিনগত রাত ২টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা গেলো পুরোদমে কাজ চলছে।

প্রকল্প এলাকার নিরাপত্তা কর্মকর্তা শামীম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এখন রাতদিন কাজ চলছে। মূলত এখানে ঢালাইয়ের জন্য মসলা প্রস্তুত করা হয়।

এ মসলা রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে এ প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। বেশ কিছু এলাকায় পাইলিং-এর কাজে চলছে এ মসলা দিয়েই। গভীর রাতেও চলছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ।  ছবি: কাশেম হারুন

তিনি জানান, কিছুদিন আগেই এখানে নির্মাণকাজের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। এগুলো  দিয়ে পুরোদমে কাজ চলছে। এজন্য প্রি-কাস্ট ইয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। ওই ইয়ার্ডে এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডার তৈরি করা হবে। পরে তা নিয়ে মূল কাঠামোর সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।

এটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইতাল-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি। এখানে প্রায় চারশ’ কর্মী রাতদিন কাজ করে বলেও জানান শামীম।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের প্রথম অংশে বিমানবন্দর থেকে বনানী ওভারপাস পর্যন্ত সাত দশমিক ৪৫ কিলোমিটারের মধ্যে ২৩৩টি পায়ার বসবে। প্রকল্পের দ্বিতীয় ভাগে বনানী থেকে তেজগাঁও অংশের অধিগ্রহণ করা জমি থেকে বিভিন্ন স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার কাজও চলছে। প্রকল্পের তৃতীয় অংশের (মগবাজার থেকে কুতুবখালী) জমি অধিগ্রহণও শেষ হয়েছে। গভীর রাতেও চলছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ।  ছবি: কাশেম হারুন

২০২০ সালের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) এ প্রকল্পে বিনিয়োগ ও নির্মাণ কাজের দায়িত্বে আছে ইতাল-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকায় গিয়ে পড়বে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এর মূল লাইনের দৈর্ঘ্য বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। গভীর রাতেও চলছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ।  ছবি: কাশেম হারুন

প্রকল্প এলাকাকে তিন অংশে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম অংশে বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত সাত দশমিক ৪৫ কিলোমিটার, দ্বিতীয় অংশে বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত পাঁচ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার এবং তৃতীয় অংশে মগবাজার থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত ছয় দশমিক ৪৩ কিলোমিটার। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে দুই হাজার ৪১৩ কোটি টাকা দেবে সরকার। বাকি টাকা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইতাল-থাই বিনিয়োগ করবে। এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে ২৫ বছর পর্যন্ত টোল আদায় করবে ইতাল-থাই।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি ইতাল-থাইয়ের সঙ্গে প্রথম চুক্তি করে সেতু বিভাগ। সে বছর ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।


বাংলাদেশ সময়: ০৪০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
কেজেড/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।