শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে ওই এলাকার বাইমাইল ব্রিজের নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ফাহিম চাঁদপুরের ছেঙ্গারচর থানার মাইচকান্দি এলাকার ময়েজ উদ্দিনের ছেলে।
কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আতিকুর রহমান রাসেল জানান, গত আড়াই বছর আগে ফাহিমের বাবা ময়েজ উদ্দিন ও মা ফারজানার (২৬) বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরে চাঁদপুরের ছেঙ্গারচর থানার মাইচকান্দি এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে সোহাগের সঙ্গে বিয়ে হয় ফারজানার।
সোহাগ ও ফারজানা গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার রাখালিয়াচালা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থেকে পোশাক কারখানায় চাকরি করতো। ফাহিমও থাকতো তাদের সঙ্গে।
কয়েক মাস ধরে সোহাগ চাকরি বাদ দিয়ে বেকার ছিলো। গত ২৯ অক্টোবর ফারজানা কাজের উদ্দেশ্যে কারখানায় চলে যায়। এ সুযোগে সোহাগ বাসা থেকে ফাহিমকে নিয়ে তাকে হত্যা করে লাশ বাইমাইল এলাকায় ব্রিজের নিচে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে খোঁজাখুঁজি করে ফাহিমকে না পেয়ে মা ফারজানা কালিয়াকৈর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পুলিশ খোঁজাখুঁজি করে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা থেকে সোহাগকে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে সে ফাহিমকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাইমাইল ব্রিজের নিচ থেকে ফাহিমের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে কালিয়াকৈর থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
আরএস/আরআই