ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্দর এলাকায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সমন্বয় ছাড়া অনিয়ম করে অন্য বাহিনীর জোর পূর্বক আমদানি পণ্য চালান আটক নিয়ে দীর্ঘদিনের যে বিতর্ক ও বিভ্রান্তি চলছিলো এখন তার অবসানে বাণিজ্যে গতিশীলতা ফিরে আসবে।
রোববার (১৯ নভেম্বর) এর মধ্যে সংশিষ্ট সকল দফতরের প্রধান কার্যালয়ে এ নির্দশনার চিঠি পৌঁছে যাবে বলে জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়, আদেশ নং- ২৩৫/২০১৭/ কাস্টমস। Customs act,1969 (act No,Iv of 1969) এর section 6 এর sub - section(1) এর প্রদত্ত ক্ষমতা বলে বোর্ড জনস্বার্থে, নিম্নবর্নিত শর্ত ও সীমা আরোপ সাপেক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের উপ-পরিদর্শক এর নিম্নে নয় এইরূপ কর্মকর্তাদের তাহাদের এখতিয়ার ভুক্ত এলাকার মধ্যে চোরাচালান বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে custom act এর section 158,159,160,161,164,168 172 এর কার্যক্রম ক্ষমতা অর্পন করা হইল।
শর্তাবলী:
(ক) আইনের section 6 এর sub-section(2) এর বিধান অনুযায়ী এই ক্ষমতা অর্পন customs act এর অধিনে ঘোষিত কাস্টমস বন্দর/বিমান বন্দর/ স্থল কাস্টমস ষ্টেশন/ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো/ইনল্যান্ড ওয়াটার কন্টেইনার টার্মিনাল/কাস্টমস এলাকার আভ্যন্তরে প্রজোয্য হবে না।
(খ) প্রদত্ত ক্ষমতার অধীনে পণ্য আটকের ক্ষেত্রে আইনের section 169 এর বিধান মোতাবেক কার্যক্রম করিতে হইবে।
(গ) উপযুক্ত ধারা সমুহের আওতায় কোনো কার্যক্রম পরিচালনার পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে ঘটনার পূর্ণ বিবরণ সম্বলিত একটি প্রতিবেদন এখতিয়ারধীন কাস্টমস কমিশনারের নিকট দাখিল করিতে হইবে।
বিষয়গুলো অবগতির জন্য চিঠির অনুলিপি মুখ্য সচিব প্রধান মন্ত্রীর কার্যলয়, কমিশনার কাস্টমস হাউজ বেনাপোল, ঢাকা, মংলা,চট্টগ্রাম, রাজশাহী,
যশোর, খুলনা, সিলেট, রংপুর, কুমিল্লা, পানগাও, কমলাপুর, ঢাকা আইজিপি পুলিশ হেড কোয়াটার ও মহাপরিচালক বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডসহ (বিজিবি) ২২টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যলয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
বেনাপোল সিআ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক লতা বাংলানিউজকে বলেন, বৈধ পথে বাণিজ্যের নিয়মাবলী বোঝেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেখানে যদি অভিজ্ঞতা নেই এমন কেউ যদি পণ্য চালান আটক বা তার তদারকি করেন তাহলে ব্যবসায়ীদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেক সময় ৪/৫ দিন পণ্য চালান আটকে লোকশানের কবলে মারাত্মক ভাবে বাণিজ্য ব্যহত হয়। দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের নীতিমালার দাবি ছিল ব্যবসায়ীদের।
ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট চেম্বার কর্মাসের সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, বৈধ ভাবে আমদানি করেও ওই পণ্য চালান নিয়ে ব্যাবসায়ীদের নানান দুশ্চিন্তায় থাকতে হতো। এখন পণ্য চালান আটক নিয়ে রাজস্ব বোর্ডের এ ধরনের নির্দেশনা হয়রানী বন্ধ হয়ে থমকে যাওয়া বাণিজ্যে গতিশীলতা বাড়াবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, বৈধ পথে ব্যবসায়ীদের হয়রানির কারনে সীমান্ত পথে আমদানি যোগ্য পণ্যের চোরাচালান হচ্ছিলো। এতে একদিকে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমানে রাজস্ব অন্যদিকে পণ্য আটক নিয়ে তর্ক-বিতর্কে প্রশাসনের একে অপরের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হচ্ছিলো। এখন সমন্বয় হওয়ায় বৈধ পথে আমদানি বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
এজেডএইচ/বিএস