শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নাগরিক সমাবেশের বক্তৃতায় তিনি এ পরামর্শ দেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃতি উপলক্ষে নাগরিক কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে রফিকুল ইসলাম বলেন, এদেশে দীর্ঘদিন বিদেশিরা শাসন করেছে। সবশেষে কুৎসিত, বিভৎসভাবে শাসন করেছে পাকিস্তানিরা। বাঙালিরা যখন উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে তখনই তারা বাধা দিয়েছে।
বাংলাদেশি নামধারী পাকিস্তানিরা এখনো সক্রিয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা যেন স্বাধীনতাকে নিয়ে ছিনিমিনি না খেলতে পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।
তরুণদের উদ্দেশ্যে এ শিক্ষাবিদ বলেন, আজকে আমাদের শপথ নিতে হবে, দেশের স্বাধীনতাকে কোনোদিন বিসর্জন দেবো না। ছদ্মবেশী পাকিস্তানিদের কোনোদিন ক্ষমতায় যেতে দিবো না। দেশের ভবিষ্যত নির্ভর করবে তরুণ প্রজন্মের উপর। ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, ছয় দফা, মুক্তিযুদ্ধ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। দেশর স্বাধীনতাকে সবার উপরে স্থান দেবো। তা যদি আমরা করতে পারি তাহলে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সফল হবে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শোনার সৌভাগ্য হয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, আজ থেকে ৪৬ বছর আগে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক। মঞ্চের সামনে বসে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনেছি। আজকে আমি বারবার পেছনে ফিরে যাচ্ছি। কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা আর হবে না। বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি শব্দ, বাক্য জনতাকে স্পর্শ করে শহীদ মিনার পর্যন্ত প্রতিধ্বনিত হয়ে সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
এসকেবি/এমসি/জেডএস