ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শেবাচিমে চিকিৎসক ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে মারামারি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৭
শেবাচিমে চিকিৎসক ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে মারামারি রোগী আমেনা বেগম-ছবি-বাংলানিউজ

বরিশাল: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) ইন্টার্ন চিকিৎসক ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক চিকিৎসক লাঞ্চিত ও রোগীর দুই স্বজন আহত হয়েছেন।
রোববার (১৯ নভেম্বর) সকালে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। 

রোগীর ফুপাতো ভাই মিজানুর রহমান জানান, তার বোন আমেনা বেগম বরিশাল নগরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ আলেকান্দার বাসিন্দা মো. শাহিনের স্ত্রী। সন্তান প্রসবের পর রক্তক্ষরণজনিত কারণে শনিবার (১৮ নভেম্বর) শেবাচিম হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।

ভর্তির পর লেবার ওয়ার্ডের ইউনিট-২ এর আওতায় চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তার চিকিৎসাসেবা চলছিলো। রোববার (১৯ নভেম্বর) ভোরে রোগীর শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে ওয়ার্ডের চিকিৎসকের কাছে যান স্বজনেরা। এসময় চিকিৎসক জানান, রোগীর রক্তের প্রয়োজন। স্বজনেরা সকাল ৬টার দিকে রক্ত জোগাড় করলেও চিকিৎসক নানা অজুহাতে দেরি করে পরে ভর্তি কাগজে লেখেন, রক্তের অভাবে রোগীর অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না।

এ নিয়ে আমেনার স্বামী শাহীন ও তার ভাই মামুনের ইন্টার্ন চিকিৎসেকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ওই ইন্টার্ন চিকিৎসক আরও লোকজন ডেকে শাহীন ও মামুনকে মারধর করেন।  

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গাইনি ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান ডা. শিখা সাহা জানান, আমেনা নামের ওই রোগী বাসায় ৭/৮ দিন আগে সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু তার রক্তক্ষরণ হতে থাকলে শনিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ধীরে ধীরে অবস্থার অবনতি ঘটে। রোগীর রক্তের প্রয়োজন দেখা দিলে রোগীর স্বজনদের রক্ত জোগাড় করতে বলা হয়। কিন্তু স্বজনরা তা না করে চিকিৎসককে বলেন জোগাড় করে দিতে। চিকিৎসক তাদের রক্ত ম্যানেজ করার নানা মাধ্যম বললেও তারা তাতে রাজি না হয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে অসদাচরণ করেন।  

তিনি বলেন, চিকিৎসক ভর্তি কাগজে রক্তের অভাবে রোগীর অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না লিখলে ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. রাকিবকে লাঞ্চিত করে রোগীর স্বজনেরা। এসময় তিনি অন্য ওয়ার্ডের চিকিৎসকদের জানালে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।  

স্বজনদের আচরণের কোনো প্রভাব রোগীর ওপর পড়েনি জানিয়ে তিনি বলেন, রোগীর রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় তাকে ৫ম তলার ওটিতে নিয়ে আসা হয়েছে। সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে।

কোতোয়ালি থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আসাদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। মৌখিক অভিযোগ পেলেও এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। এখন রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকদের সঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৭
এমএস/আরআর
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।