রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে ওই ছাত্রীর সাবেক স্বামী, তার বাবা ও মাইক্রোবাস চালককে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড চায় মতিহার থানা পুলিশ।
পরে বিকেলে রাজশাহীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে-৩ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে অপহরণের শিকার ওই রাবি ছাত্রীকে আদালতে নেওয়া হয়। পরে আদালতে তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। এতে ওই ছাত্রী বলেন, সাবেক স্বামী তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করেছিলো।
বিষয়গুলো নিশ্চিত করে রাজশাহীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে বলেন- আদালতে জবানবন্দি গ্রহণের পর ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে আদালতের নির্দেশে ওই ছাত্রীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার সাবেক স্বামীসহ দু’জনকে থানায় আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ কমিশনার মাহবুবর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার বলেন- বিবাহ বিচ্ছেদ ঠেকাতেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ওই ছাত্রীকে অপহরণ করেছিলেন তার সাবেক স্বামী। স্ত্রীকে জোরপূর্বক ডিভোর্স প্রত্যাহার করানোর জন্য তাকে তুলে নিয়ে ঢাকায় কাজী অফিসেও নিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ কমিশনার বলেন, অপহরণকারী ওই ছাত্রীর স্বামী হলেও তাকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়াটা অপরাধ। এ ব্যাপারে মামলাও হয়েছে। তাই তদন্তের স্বার্থে পুলিশ আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান মহানগর পুলিশ কমিশনার।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার একটি কাজী অফিস থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় অভিযুক্ত সাবেক স্বামী সোহেল রানাকেও গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ঢাকা থেকে মাইক্রোবাস চালক জাহিদুল ও সোহেল রানার বাবা জয়নাল আবেদীনকে নওগাঁ থেকে আটক করে পুলিশ।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী রাবেয়া হলের সামনে থেকে মাইক্রোবাসে করে বাংলা বিভাগের ওই ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছিল। ঘটনার পর ওই ছাত্রীর বাবা ৬ জনের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৭
এসএস/জেডএস