সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
মনি নেত্রকোনা সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আহমেদ মিয়ার মেয়ে।
ওই বাড়ির কেয়ারটেকার আরিফ হোসেন জানায়, মনি উক্ত ভবনের ৪ তলায় গৃহকর্তা জসিম উদ্দিনের বাসায় ১ বছর ধরে কাজ করতো। রোববার (১৯ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে মনি গলায় ফাঁস দেয়। পরে তাকে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
খবর পেয়ে পুলিশ রোববার রাতেই হাসপাতাল থেকে মনির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সোমবার দুপুরে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে মেয়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে দেশের বাড়ি থেকে ঢাকায় ছুটে আসে মৃত শিশু মনির পরিবার। ঢামেক হাসপাতালের মর্গের সামনে মৃত মনির মা চায়না আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, তার মেয়েকে ওই বাসার লোকেরা হত্যা করেছে। এতটুকু মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি জানান, ঢাকায় তাদের বেশ কয়েক জন আত্মীয় জসিম সাহেবের পরিচিতদের বাসায় কাজ করে। জসিম সাহেবের লোকজন তাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে। মনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এমন কথা শিখিয়ে দেয়া হচ্ছে তাদের। তিনি তার মেয়ের হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল লতিফ জানান মৃত শিশু মনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম উদ্দিনের বাসায় গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করতো।
পুলিশ গতকাল রাতে সংবাদ পেয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মনির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মৃত শিশুর পরিবারের লোকজনের ঢাকায় পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় লাশ আজ দুপুরের দিকে ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মনির মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
ঢামেক হাসপাতালে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ মৃত শিশুর ময়নাতদন্তের ব্যাপারে সাংবাদিকদের জানান, মনির ডান হাতে আঘাতের চিহ্ন আছে এছাড়া মাথাতেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পাশাপাশি গলায় দাগও পাওয়া গেছে।
তিনি জানান মৃত মনির গলা থেকে টিস্যু, ভিসেরা ও মৃত্যুর পূর্বে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই সংগ্রহকৃত নমুনাগুলো পরীক্ষায় জন্য পাঠানো হবে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
এজেডএস/আরআই