ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সমাজ ও জাতি গঠনে সরকারকে সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনী 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
সমাজ ও জাতি গঠনে সরকারকে সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনী  সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক- ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিজস্ব কর্মকাণ্ডের বাইরে সমাজ ও জাতি গঠনের কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সরকারকে সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক।

রোববার (২৬ নভেম্বর)  ঢাকায় আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৭ উপলক্ষে 'স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য খেতাবপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্যদের সম্মানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।  


সেনাপ্রধান বলেন, দেশের অখণ্ডতা, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ধরে রেখে সংবিধান সমুন্নত রাখার আদর্শিক প্রেরণায় সেনাবাহিনীর উপর অর্পিত সকল দায়িত্ব নিরলসভাবে পালন করে যাচ্ছে।

সেনাবাহিনীর নিজস্ব কর্মকাণ্ডের বাইরে সমাজিক ও জাতি গঠনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সরকারকে সহযোগিতা করছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারকে সহায়তা করছে।  

তিনি বলেন, চলতি বছরের জুনে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করতে গিয়ে আমাদের পাঁচজন সেনা সদস্যকে অকালে প্রাণ দিতে হয়েছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও রেজিস্ট্রেশনসহ সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্ব সহকারে ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া জঙ্গিবাদ দমনে সেনাবাহিনীর সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ আর্ন্তজাতিক অঙ্গণে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে।  
খেতাবপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও তাদের স্বজনরা- ছবি: জিএম মুজিবুর সেনাবাহিনী বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে জানিয়ে শফিউল হক বলেন, সেনাবাহিনী অক্লান্ত পরিশ্রম, সততা, কর্মনিষ্টা ও পেশাদারিত্বের বিনিময়ে দেশের সীমা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। শিক্ষা-দীক্ষা জ্ঞান-বিজ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে তুলে ধরার প্রচেষ্টা আমাদের থাকবে।  

সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি বিশ্বায়নের যুগে দৃঢ়তার সঙ্গে দক্ষ সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে হবে। পারস্পরিক মর্যাদা, সঠিক মূল্যবোধের মাধ্যমে আমাদের বহুযুগের সংস্কৃতি ধরে রাখতে হবে। সবার সহযোগিতায় প্রতিকূলতা দুর করে আমরা একটি দক্ষ সেনাবাহিনী গড়ে তুলবো।  

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ৩ জন বীরশ্রেষ্ট, ৫ জন বীর উত্তম,৭ জন বীর বিক্রম ও ২২ জন বীরপ্রতীক ও তাদের স্বজনদেরসহ মোট ৩৭ জনকে পদক প্রদান করা হয়।  

অনুষ্ঠানের শুরুতে খেতাবপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন বীরত্বগাথা সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়। সেনাপ্রধান উপস্থিত খেতাবপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও তাদের স্বজনদের হাতে উপহার সামগ্রী বিতরণ ও কুশল বিনিময় করেন।  

এ সময় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
এমসি/বিএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।