ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শেবাচিম হাসপাতালে ভাঙচুর, অভিযোগ স্বজনদের বিরুদ্ধে 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
শেবাচিম হাসপাতালে ভাঙচুর, অভিযোগ স্বজনদের বিরুদ্ধে  হাসপাতাল ওয়ার্ডের গেটে ভিড় করছেন রোগীর স্বজনরা। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল ভাঙচুর ও কর্মরতদের মারপিটের ঘটনায় মৃতের স্বজনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন হাসপাতালে কর্মরতরা। 

রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রোগী মারা যাওয়ার পর ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনা ঘটে।  

হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নগরের কাউনিয়া এলাকার মো. জালাল জমাদ্দারের ছেলে মো. কবির জমাদ্দার (৪৫) অসুস্থ হলে তাকে ২৪ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রোববার সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বেলা পৌনে ১১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তির মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় মৃতের স্বজনরা হাসপাতালে কর্মরতদের গায়ে হাত তোলেন ও জানালায় এলোপাথারি লাথি মারেন। এতে জানালার গ্লাস ভেঙে যায়।  

এ সময় হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স ও স্টাফরা তাদের কাছে কারণ জানতে চাইলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক-বিতাণ্ডা হয়। পরে মৃত ব্যক্তির ছেলে পাভেলসহ ২ স্বজনকে আটক করে মারধর করেন হাসপাতালের কর্মরতরা।

হাসপাতালের ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বরত নার্সরা জানান, রোগী মারা যাওয়ার পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু মরদেহ নেওয়ার সময় ১৫ থেকে ২০ জন রোগীর স্বজন এসে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করে ওয়ার্ডে সাধারণ রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে সবাই এর প্রতিবাদ জানালে চিকিৎসকদেরও লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে তারা। এ সময় দু’জনকে আটক করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।  

মৃত ব্যক্তির ছেলে পাভেল জানান, চিকিৎসক ও ওয়ার্ডের অন্য স্টাফরা তাকে আটক করে মারধর করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তিনি কথা বলতে চাইলেও কেউ তার কথা শোনেন নি।

ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজু আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, রোগীর স্বজনরা ওয়ার্ডের ভেতরে ঝামেলা করলে গেট বন্ধ করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল কাদের, স্থানীয় কাউন্সিলর মজিবুর রহমান ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল কাদের বাংলানিউজকে জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন, পরবর্তীতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
এমএস/আরআইএস/বিএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।