গ্রেফতারের পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসামিকে কেন ছেড়ে দিলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম (পিপিএম) জানান, বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কলেজ ছাত্র সাকির গোমস্তা’র মা আলেয়া বেগম জানান, পালরদী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) তপন কুমার রায়কে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সাকিরকে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বখাটে সোহেল গোমস্তা, ইমরান মীর, সুমন হাওলাদার, রিয়াজ খান, ফাহিমসহ ৫/৬ জন মিলে সাকিরকে পিটিয়ে জখম করে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোররাতে সাকির মারা যায়। সাকির ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
ঘটনার পরপরই সাকিরের মা গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যা সাকিরের মৃত্যুর পর হত্যা মামলায় রূপ নেয়।
এদিকে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মামলার এজাহারভূক্ত আসামি ফাহিমকে মারধর করে গৌরনদী থানার উপ-সহকারী পরিদর্শক (এসআই) মো. শামছুউদ্দিনের কাছে সোপর্দ করেন। কিন্তু পরে তাকে ওসির নির্দেশে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
তবে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন- ফাহিমকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি, সে থানা থেকে পালিয়ে গেছে। আসামি পালানোর পরে কেউ লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেননি। তাছাড়া ফাহিম ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র তার পড়নে স্কুলের পোশাক থাকায় তাকে হাজতে রাখা হয়নি। যে কারণে সে পালানোর সুযোগ পেয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. মনির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
এমএস/বিএস