আদিকাল থেকেই গারোদের বিশ্বাস, মানুষের জীবন ও জীবিকার জন্য প্রাকৃতিক যে সম্পদ সবই দেবতার সৃষ্টি এবং দান। গারোদের বিশ্বাস দেবতারা পৃথিবী, সালজং পার্থিব ফসলাদি এবং সুষিমি রোগ নিরাময়কারী ও ঐশ্বর্য প্রদানকারী।
উৎসবকে ঘিরে দিনটি শুরু হতেই স্কুল মাঠের এক প্রান্তে সাজানো মঞ্চে কামাল (পুরোহিত) জলে মন্ত্র পড়ে ফুঁদিয়ে জলকে পবিত্র করেন এবং ওই জল ভক্তদের উদ্দেশে সিঞ্চন করে বলেন, এ পবিত্র জলের সংস্পর্শে যারা আসবে তারা যেন পবিত্র হয়ে উঠে। ঈশ্বরের সন্তান হয়ে ওঠে। পরে সেখানে থেকে বাদ্য আর সংগীতে নেচে গেয়ে অতিথিদের মূল মঞ্চে নেয় গারো মেয়েরা। খ্রিস্টযোগের পর মন্ত্র, সংগীত আর নৃত্যে উঠে আসে গারো সংস্কৃতি।
অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে গারোদের জীবন ঘনিষ্ঠ সংস্কৃতি উঠে আসে রুগালা, গোরীরুয়া, গ্রিক্কা, বিসাদিমদিমা, চাম্বিল মেসা, নকগাখা, চাওয়ারী সিকগা ইত্যাদি শিরোনামের অনুষ্ঠিত পার্বিক উপস্থাপনায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পীরগাছা ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার লরেন বিভারু।
বেনেডিক্ট সিমসাংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- প্রাইম এসেস্ট গ্রুপ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন- গীতিন নকরেক, মিনিকা সিমসাং, মাইকেল সিমসাংসহ আদিবাসী অসংখ্য নারী, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
আরবি/