সমস্যা নিরসনে তাই পাশে নতুন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণের প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেন যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ করিডর ১৪৩ কিলোমিটারের এ সেকশনটি।
ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় এবং সহজ ও দ্রুত যোগাযোগের লক্ষ্যে বিশাল বাজেটে বড় ধরনের প্রকল্পের আওতায় ১৪৩ কিলোমিটারের সমান্তরাল নতুন রেলপথটি নির্মিত হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বৃহৎ প্রকল্প নেওয়ার আগে প্রাথমিক কাজ হিসেবে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিশদ ডিজাইন প্রণয়ন শুরু হয়েছে। ২১ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে চলতি সময় থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মেয়াদে সমীক্ষা চালানো হচ্ছে।
উপযুক্ত অ্যালাইনমেন্ট নির্বাচন, প্রাথমিক পরিবেশ জরিপ, এনভায়রনমেন্টাল পরিকল্পনা ও রি-সেটেলমেন্ট অ্যাকশন প্ল্যান তৈরিতে ৩৫ জন দেশি-বিদেশি পরামর্শক সমীক্ষার কাজ করছেন।
তবে মূল প্রকল্প গ্রহণে বিশাল অংকের অর্থায়ন প্রয়োজন। ব্যয় মেটাতে ইতোমধ্যেই বড় অংকের ঋণ দিতে সম্মত করানো হয়েছে চীনকে। দেশটির সরকারের জি-টু-জি পদ্ধতিতে এ রেলপথটি নির্মিত হতে পারে। তবে তার আগে প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ নকশা দেখবে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এজন্যই দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকল্পের সমীক্ষা চালানো হচ্ছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) কমল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য বাংলানিউজকে বলেন, ‘জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ-জামালপুর সেকশনে প্রতিনিয়তই ট্রেনে সার, খাদ্য, জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্য পরিবহন বাড়ছে। বিদ্যমান রেলপথটি মিটারগেজ সিঙ্গেল লাইন হওয়ায় দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্ন ট্রেন চলাচল করতে এবং যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের চাহিদা মেটাতে পারছে না’।
‘পুরো রেলপথ জুড়ে কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় হচ্ছে ইপিজেডও। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ইপিজেডে পণ্য সরবরাহেও এ পথটিকে ডুয়েলগেজ করা জরুরি’।
তিনি আরও বলেন, ডুয়েলগেজ হওয়ার পর এ লাইনটি এক সময় বঙ্গবন্ধু সেতুর সঙ্গে যুক্ত হবে। তবে আগের সিঙ্গেল লাইন রেলপথটিও থাকবে। কারণ, এর গুরুত্বও বর্তমানে অনেক। এখনই দেশ থেকে সিঙ্গেল লাইন তুলে দেওয়া সম্ভবও নয়।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, তবে এখনই বলা যাচ্ছে না যে, দীর্ঘ এ রেলপথ নির্মাণের ব্যয় কতো হবে। কারণ, রেট সিডিউল সব সময় বাড়তেই থাকে। প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা থাকলেও পরে বেড়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর