সেদিনের কথা মনে করে আঁতকে ওঠে মানুষ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে দুর্ঘটনা ঘটলেও আজো লালমোহন-ঢাকা রুটে চালু হয়নি নিরাপদ লঞ্চ।
এলাকাবাসী জানায়, কোকো-৪ দুর্ঘটনায় লালমোহন উপজেলার চর ছকিনা গ্রামের আব্দুর রশিদ ছেলে নূরে আলম সাগর এবং তার সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী ইয়াসমিন ও শ্যালিকা হ্যাপি বেগমকে হারিয়েছেন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে নববধূ ও শ্যালিকাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন নূরে আলম। কিন্তু সেই দুর্ঘটনায় ৩ জনেরই মৃত্যু হয়। তাদের কথা স্মরণ হলে এখনো আঁতকে ওঠেন ওই পরিবারের সদস্যরা।
একই এলাকার বাকলাই বাড়ির শামসুন নাহার স্বামী-সন্তান-দেবরসহ একই বাড়ির ১৬ জনকে নিয়ে কোকো লঞ্চে রওনা হয়েছিলেন বাড়িতে ঈদ করার জন্য। বাড়ির কাছের ঘাটে এসে লঞ্চডুবিতে প্রাণ হারান তার মেয়ে সুরাইয়া (৭), ভাসুরের মেয়ে কবিতা (৩) ও দেবর সোহাগ (১৩)। সেই থেকেই শামসুন নাহার আদরের মেয়ের শোকে কাতর।
সেদিনের সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কথা মনে করে এখনো শোক সাগরে ভাসছে পুরো দ্বীপজেলা, বিশেষ করে লালমোহন উপজেলা।
২০০৯ সালের ২৬ নভেম্বর ঈদের সময়ে ঢাকা থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ভোলার লালমোহনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে কোকো-৪। দিবাগত রাতে লালমোহনের নাজিরপুর ঘাটের কাছে এসে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে লঞ্চটি ডুবে যায়।
কোকো ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে ভোলার লালমোহন, চরফ্যাশন ও তজুমদ্দিন উপজেলায় বিশেষ স্মরণসভা, দোয়া-মোনাজাত, কালো পতাকা উত্তোলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
জেডএম/