সম্প্রতি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনকালে মরডান্ত নতুন এই সহায়তার কথা ঘোষণা দেন। সোমবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকায় যুক্তরাজ্য দূতাবাসের এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, নতুন করে ঘোষিত এক কোটি ২০ লাখ ইউরো মিলিয়ে ২৫ আগস্টের পর থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের সহায়তার মোট অংক দাঁড়াচ্ছে পাঁচ কোটি ৯০ লাখ ইউরো।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সোয়া ৬ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে জনগোষ্ঠীটির কিছুসংখ্যক নারী, শিশু ও পুরুষের সঙ্গে কথা বলেছেন মরডান্ট। এসময় তিনি সংকট মোকাবেলায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং ঢাকার পাশে যুক্তরাজ্য সবসময় থাকবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে বিপর্যয় সৃষ্টির আগেই দীর্ঘমেয়াদে সহায়তা দেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের পদাঙ্ক অনুসরণে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
যুক্তরাজ্য সরকারের এ মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর ক্রমাগত নিপীড়ন অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। যে হাজার হাজার নিরীহ পুরুষ, নারী ও শিশুদের বাড়িঘর ছিল, তা পুড়িয়ে ভস্মীভূত করে দেওয়া হয়েছে, মা-বাবারা নির্বাক চোখে দেখলেন তাদের সন্তানরা ক্ষুধায় মারা যাচ্ছেন, কী ভয়ানক।
এটাকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’র মতো মনে হচ্ছে উল্লেখ করে মরডান্ট বলেন, বার্মিজ সেনাবাহিনীকে অবশ্যই তাদের অমানবিক সহিংসতা বন্ধ করতে হবে এবং সংঘাত কবলিত এলাকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ দিতে হবে। এই পরিবারগুলোকে নিরাপদে, স্বেচ্ছায় ও সম্মানের সঙ্গে তাদের বাড়িঘরে ফিরতেও দিতে হবে।
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে উচ্ছেদে রাখাইনে নিধনযজ্ঞ শুরু করে। এতে এখন পর্যন্ত সোয়া ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। ধর্ষিতও হয়েছে অসংখ্য নারী। রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরিয়ে সংকটের শিগগির সমাধান দাবিতে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্ব সম্প্রদায় মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
এইচএ/