ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক সমুদ্র মহড়ার উদ্বোধন রাষ্ট্রপতির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক সমুদ্র মহড়ার উদ্বোধন রাষ্ট্রপতির রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কক্সবাজারের ইনানী বিচে আনুষ্ঠানিকভাবে সমুদ্র মহড়ার উদ্বোধন করেন। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২১টি দেশের নৌবাহিনীর অংশগ্রহণে বঙ্গোপসাগরে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সমুদ্র মহড়া ইমসারেক্স-২০১৭ (আইওএনএস মাল্টিলেটারাল মেরিটাইম সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এক্সারসাইজ)। 

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সোমবার (২৭ নভেম্বর) কক্সবাজারের ইনানী বিচে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মহড়ার উদ্বোধন করেন।  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কমান্ডার বিএন ফ্লিট রিয়ার অ্যাডমিরাল এম আশরাফুল হক ইমসারেক্সের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

আইওএনএসের বর্তমান চেয়ারম্যান নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ এবং আইওএনএস’র প্রতিষ্ঠাতা দেশ হিসেবে ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লাম্বা শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।

পরে রাষ্ট্রপতি আইওএনএস রচনা প্রতিযোগিতা-২০১৬ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এরপর তিনি হেলিকপ্টারযোগে মহড়ায় অংশগ্রহণকারী যুদ্ধজাহাজগুলোর ফ্লিট রিভিউ পরিদর্শন করেন। তারপর রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য বিচ কার্নিভালের উদ্বোধন করেন। সমুদ্র মহড়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।  ছবি: শাকিল আহমেদমহড়ায় ইন্ডিয়ান ওশান নেভাল সিম্পোজিয়ামের (আইওএনএস) ২৩টি সদস্য ও ৯টি পর্যবেক্ষক দেশের নৌবাহিনীর ৪১টি যুদ্ধজাহাজ, ৩টি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও ৪টি হেলিকপ্টার অংশ নিচ্ছে। এছাড়া এতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর নৌবাহিনী প্রধান, ঊর্ধ্বতন নৌ-কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দেশের মেরিটাইম বিশেষজ্ঞরাও থাকছেন। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহের নৌবাহিনীর মধ্যকার আঞ্চলিক সম্প্রীতি ও সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী বঙ্গোপসাগরে এই আন্তর্জাতিক সমুদ্র মহড়ার আয়োজন করেছে।  

এ মহড়ার অংশ হিসেবে আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার (২৮ ও ২৯ নভেম্বর) যুদ্ধজাহাজসমূহে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া, দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজ হতে জরুরি উদ্ধার অভিযান ও চিকিত্সা সহায়তা প্রদান, গভীর সমুদ্রে নিখোঁজ ফিশিং ট্রলার ও জেলেদের অনুসন্ধান, গভীর সমুদ্রে জরুরি উদ্ধার অভিযান, গভীর সমুদ্রে নিখোঁজ উড়োজাহাজ অনুসন্ধান ও বাণিজ্যিক জাহাজের অগ্নিনির্বাপণে সহায়তা প্রদান, দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজকে পোতাশ্রয়ে ফিরিয়ে আনা এবং ফ্লিট রিভিউ অনুষ্ঠিত হবে।
 
বর্ণাঢ্য বিচ কার্নিভালে তুলে ধরা হয় বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।  ছবি: শাকিল আহমেদ

মহড়ায় অংশগ্রহণকারী আইওএনএসের ২৩ সদস্য দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কেনিয়া, মালদ্বীপ, মরিশাস, মোজাম্বিক, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সেসেলস, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, তাঞ্জানিয়া, থাইল্যান্ড, তিমুর লেসেথ, সংযুক্ত আরব অমিরাত এবং যুক্তরাজ্য। অন্যদিকে ৯টি পর্যবেক্ষক দেশ হিসেবে রয়েছে চীন, জার্মানি, ইতালি, জাপান, মাদাগাস্কার, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডস, রাশিয়া এবং স্পেন।

আয়োজকরা আশা করছেন, আন্তর্জাতিক এই সমুদ্র মহড়া ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কৌশলগত গুরুত্ব বৃদ্ধি ও মেরিটাইম সহযোগিতার ক্ষেত্রে সদস্য দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরালো করবে। এছাড়া এ অঞ্চলের সদস্য দেশসমূহের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে ব্লু-ইকোনমি ধারণাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি এই মহড়া এ অঞ্চলে সমুদ্র নিরাপত্তার ঝুঁকি মোকাবেলা ও সমুদ্র বাণিজ্য রক্ষায় বহুপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও সুদৃঢ় করবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
এমইউএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।